রণজয়ের পুজোর সাজ। ছবি: সংগৃহীত।
সাজের সঙ্গে মেয়েদের একটা আত্মিক যোগাযোগ থাকলেও পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। পুজো যদি হয় বাঙালির আবেগ, তা হলে সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ অতি অবশ্যই সাজগোজ। অনেকেরই ধারণা, ছেলেদের সাজপোশাকের বিকল্প বেশি নেই। সেই একঘেয়ে খাড়া-বড়ি-থোড়, থোড়-বড়ি-খাড়া। তা কিন্তু নয়। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যে কোনও পোশাক পরলেই চেনা ছেলেটিও হয়ে উঠতে পারে অচেনা।
সারা বছর জিন্সের সঙ্গে শার্ট, টি-শার্ট পরেই কাটিয়ে দেন। কিন্তু পুজোর সঙ্গে সাবেকিয়ানার সম্পর্ক চিরন্তন। অষ্টমীর অঞ্জলি হোক কিংবা দশমীর ভাসান, ধুতি-পাঞ্জাবি প্রথম পছন্দ অনেকেরই। তাই বলে উৎসবের মরসুমে পশ্চিমি পোশাক একেবারে ব্রাত্য থাকবে, তা তো হতে পারে না। অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু তাই এ বার পুজোয় সাবেকিয়ানার সঙ্গে মিশেল ঘটালেন পাশ্চাত্যের। পুজোর পাঁচটি দিন সাবেকি পোশাকের সঙ্গে পশ্চিমি পোশাক কী ভাবে হাত ধরাধরি করে চলতে পারে, শেখালেন অভিনেতা।
ষষ্ঠীর সাজ
ষষ্ঠী মানেই পুরোদমে পুজোর ঘোরাঘুরি শুরু। তাই স্বচ্ছন্দের বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরি। রণজয় ষষ্ঠীর জন্য বেছে নিলেন রিপ্ড জিন্সের সঙ্গে হালকা গোলাপি রঙের সোয়েট শার্ট। সাজে অন্য মাত্রা এনেছেন আধুনিক কালো বিড্সের হার। সঙ্গে সাদা ফ্রেমের চশমায় একেবারে ষষ্ঠীর ‘পারফেক্ট লুক’-এ অভিনেতা।
সপ্তমী
উৎসব যেন আরও খানিকটা জমকালো হয়ে উঠছে। পুজোর দ্বিতীয় দিনে একটু স্বাদ বদলাতে তাই রণজয় সাজলেন ধুতি-পাঞ্জাবিতে। গাঢ় তুঁতে রঙের পাঞ্জাবির সঙ্গে বাদামি মলমলের ধুতি পরলেন রণজয়। সঙ্গে কালো ফ্রেমের চশমায় একদম তৈরি অভিনেতা।
অষ্টমী
অষ্টমীর জন্য রণজয় সাদা-লালে সাজালেন নিজেকে। লাল পেড়ে সাদা ধুতির সঙ্গে সাদা পাঞ্জাবি বাছলেন অষ্টমীর অঞ্জলির জন্য। পাঞ্জাবির এক পাশে দুর্গার মুখের মোটিফ। অষ্টমীর সাজে এমন সাবেকিয়ানার ছোঁয়া না থাকলে চলে!
নবমী
নবমী নিশিতে উৎসবের রং আরও একটু গাঢ় হয়। তাই নবমীর রাতের জন্য রণজয়ের পছন্দ নানা রঙের আঁকিবুঁকি করা কো-অর্ড সেট। ডান হাতে ব্যান্ড, বাঁ হাতে লেদারের ঘড়ি, পায়ে স্নিকার্স, চোখে জামার সঙ্গে মিলিয়ে চশমা— প্রেমিকা হোক কিংবা বন্ধুরা, এমন লুকে দেখলে চমকে যাবেন সকলেই।
দশমী
পুজো শেষ। তবু উৎসবের আলো সহজে মন থেকে মুছে ফেলা যায় না। তাই দশমীর দিন রণজয় সাজলেন চকোলেট রঙের পাঞ্জাবি আর ধুতিতে। পাঞ্জাবির এক পাশে সাদা সুতোর ঘন কারুকাজ। উৎসব শেষের বিষাদ আর নতুন বছরের অপেক্ষায় যেন মিলেমিশে আছে সাজে।
মডেল: রণজয় বিষ্ণু
চিত্রগ্রাহক: সাহিল পাসওয়ান
রূপটানশিল্পী: সৌরভ দাস
পোশাক সৌজন্য: সম্পূর্ণা এবং দেবযানী