মানসিক চাপ বাড়লে মুখে ব্রণ হয়? ছবি: সংগৃহীত।
বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে এসেছেন অনেক আগেই। ব্রণের সমস্যা এখন তেমন গুরুতর ভাবে দেখা দেওয়ার কথা নয়। কী কারণে যে গালে, বুকে, পিঠে, কাঁধে কিংবা কপালে ব্রণ হচ্ছে, তা বোঝার কঠিন। ব্রণ হয় সাধারণত ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রে অতিরিক্ত তেল বা সেবাম, মৃত কোষ, ব্যাক্টেরিয়া জমলে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হরমোনেও হেরফের হতে শুরু করে। সে ক্ষেত্রেও ব্রণের উপদ্রব বাড়তে পারে। পাশাপাশি ব্ল্যাকহেডস্ এবং হোয়াইটহেডসের সমস্যাও দেখা যায়।
কিন্তু ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রণ হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। তবে, বয়ঃসন্ধি কাটিয়ে ফেলার পরেও ব্রণের সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে। বিভিন্ন গবেষণায় সে প্রমাণ মিলেছে।
মানসিক চাপ বা উদ্বেগের সঙ্গে ব্রণের যোগ কোথায়?
মানসিক চাপ বা উদ্বেগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তে কর্টিজ়ল হরমোন ক্ষরণের মাত্রাও বেড়ে যায়। এই কর্টিজ়ল সাধারণ ভাবে ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত। কিন্তু আমেরিকার এক ত্বকের চিকিৎসক বলছেন, “স্ট্রেস হরমোন বা কর্টিজ়ল ক্ষরণের সঙ্গে ব্রণের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। হঠাৎ কেন এমনটা হয়, তা ঠাহর করাও কঠিন। কিন্তু আমরা দেখেছি, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে এই ধরনের ব্রণের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।” মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা বা খেলাধুলো করা, সমাজমাধ্যম ব্যবহারে লাগাম টানা, গান শোনা অভ্যাস করতে বলছেন চিকিৎসকেরা।