ছবি : সংগৃহীত।
শীতের ছুটির দিনগুলোতে বেড়াতে যাওয়া, পিকনিক, বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ার মতো পরিকল্পনা থাকেই। খাওয়াদাওয়াও হয় নানারকম। কখনও কেক, মিষ্টি তো কখনও ভাজাভুজি বা মশলাদার খাবার। কিন্তু পার্টির জন্য সাজগোজে যতটা সময় ব্যয় করেন, ত্বক চর্চা বা নিজের খেয়াল রাখার ততটা সময় দেন না অনেকেই। ঠান্ডায় জলও খাওয়া হয় কম। ওই সব কারণেই শীতে ত্বকে ব্রণর সমস্যা হতে পারে। মুখে ব্রণ হলে সাজগোজ বৃথা। কী ভাবে ব্রণকে দূরে রাখবেন? রইল তিন সহজ টোটকা।
১। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার এবং মূলতানি মাটি
দু’টি উপাদানই ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখার মূলে যে কোলাজেন, তার উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা দূর করে ত্বককে দূষণমুক্তও করতে পারে।
১ টেবিল চামচ মূলতানি মাটি এবং ২ টেবিল চামচ অ্যাপস সাইডার ভিনিগার এক সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট তার পরে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২। শশা এবং দই
অর্ধেক শশা বাটা এবং দু’ টেবিল চামচ দই একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তার পর ঈষদোষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নিন।
রূপটান শিল্পীরা বলছেন এই মিশ্রণ ত্বকে লাগালে তা ত্বককে ঠান্ডা রাখে, উপকারী মাইক্রোবিয়োমকে পুষ্টি জোগায় এবং ব্রণর দাগও দূর করে। ত্বক ঠান্ডা হওয়ায় এবং উপকারী মাইক্রোবিয়োম সক্রিয় থাকায় ব্রণর ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করতে পারে।
৩। মধু ও দারচিনি
শুধু মধু দিয়েও ব্রণর প্রতিরোধ করা সম্ভব। কারণ মধুতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ত্বকের রন্ধ্রকে পরিষ্কার করে প্রদাহ কমায়। ব্রণ দূরে রাখে। মধু ভাল মানের হলে কাজ হয় বেশি। অনেকে মধির সঙ্গে দারচিনি মিশিয়েও মুখে লাগান। ১ চামচ দারচিনি গুঁড়োর সঙ্গে তিন চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট মতো রেখে ঈষদোষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। তবে ব্যবহারের আগে হাতে লাগিয়ে অবশ্যই দেখে নেবেন কোনও অস্বস্তি হচ্ছে কি না।