চুল ঝরার সমস্যা নিয়ে মুষড়ে পড়ার দরকার নেই। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরোয়া টোটকা থেকে প্রসাধনীর ব্যবহার— চুলের যত্নে কোনও চেষ্টাই বাদ রাখেন না কেউ। কিন্তু তার পরেও যে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়, তা নয়। চুলের সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভুগছেন। চুল ঝরা থেকে চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়া— সমস্যার শেষ নেই। আপ্রাণ চেষ্টা করেও সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না কিছুতেই। এমন উদাহরণও রয়েছে ভূরি ভূরি। প্রসাধনী ব্যবহার করে সাময়িক সুফল পেলেও স্থায়ী কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। প্রতি দিন গোছা গোছা চুল উঠতে থাকলে এক সময়ে টাক পড়ে যেতে পারে। তাই আগে থেকে সুরক্ষা নেওয়া জরুরি। তার জন্য নতুন কোনও প্রসাধনী নয়, বরং ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি পানীয়ের উপর।
মেথির জল
শরীরের যত্নে মেথির ভূমিকা অপরিহার্য। তবে রূপচর্চাতেও কিন্তু মেথি দারুণ কার্যকরী। বিশেষ করে চুলের খেয়াল রাখতে হেঁশেলের এই চেনা উপকরণ সত্যিই কাজে আসে। মেথিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা মাথার ত্বকের প্রদাহ দূর করে। চুলের গোড়া শক্ত করে। সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই জল খালি পেটে খেতে পারেন। কয়েক দিন খেলেই উপকার পাবেন।
মৌরির জল
মুখশুদ্ধি হিসাবে মৌরির জনপ্রিয়তা তো আছেই। সেই সঙ্গে হজমের গোলমাল কমাতেও মৌরি উপকারী। তবে মৌরি কিন্তু চুল ঝরার সমস্যার সমাধান করে। চুলের জেল্লা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে চুলের তৈলাক্ত ভাব দূর করে। একটি সসপ্যানে জলের সঙ্গে মৌরি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। খাওয়ার আগে ছেঁকে নিলে ভাল।
ধনে বীজের জল
রান্নায় ধনে না প়ড়লে স্বাদের এদিক-ওদিক হয়। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, চুলের সমস্যার সমাধানেও ধনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেথির মতো ধনেতেও রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা চুল ঝরার সমস্যা কমায়। চুলের গোড়া শক্ত করে। নিয়ম করে ধনে বীজের জল খেলে চুলের জেল্লাও বাড়ে।