কোন কোন ভুল করা যাবে না? ছবি: সংগৃহীত।
কোথাও যাওয়ার আগে সাজগোজ করতে এত সময় লাগে না। পুরো দমে সাজগোজ করার পর, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের স্থূলকায় চেহারা দেখতে গিয়েই সময় বয়ে যায়। কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে যে পোশাক পরবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন, তা পরেও বদলে ফেলতে হয়। অথচ দেহের ওজন যে খুব বেশি, তা নয়। কিন্তু আয়নাতেই যদি নিজেকে এত মোটা লাগে, ছবিতে যে কেমন লাগবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অভিজ্ঞরা বলছেন, মোটা নয় অথচ মোটা দেখানোর পিছনে রয়েছে ভুল পোশাক নির্বাচন।
কী ধরনের পোশাক পরলে স্থূলকায়দের মোটা লাগবে না?
১) ‘ব্যাগি’ পোশাক
নিজের শরীরের চেয়ে বড় মাপের পোশাক পরার চল হয়েছে এখন। দেহের বাড়তি মেদ লুকোতে এই পোশাকগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইদানীং। তবে যাঁরা মোটা নন, অথচ একটু স্বাস্থ্যবান, তাঁদের জন্য এমন পোশাক কিন্তু মানানসই নয়।
২) হরাইজ়ন্টাল স্ট্রাইপ্স
রোগা মানুষদের আড়াআড়ি স্ট্রাইপ্স পরলে দেখতে ভাল লাগে। তবে যাঁরা একটু স্থূলকায়, তাঁদের ক্ষেত্রে পোশাকের এই প্যাটার্ন কিন্তু বেশ বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে। তার চেয়ে বরং লম্বালম্বি স্ট্রাইপ করা পোশাক পরলে কিছুটা রোগা দেখাতে পারে।
৩) একাধিক স্তরের পোশাক
সুন্দর, কায়দার পোশাকের উপর গরম জামা পরতে মোটেই ভাল লাগে না। কিন্তু ঠান্ডার সময়ে সোয়েটার বা জ্যাকেট না পরে তো থাকতে পারবেন না। তাই একাধিক স্তর বা লেয়ারের জামা পরতে পছন্দ করেন অনেকে। তবে এই ধরনের পোশাক সাধারণত ফুলেফেঁপে থাকে। তাই মোটা লাগা অস্বাভাবিক নয়।
৪) গাঢ়-হালকার মিশেল
গাঢ় রঙের টপ সঙ্গে হালকা রঙের ট্রাউজ়ার্স কিংবা হালকা রঙের টপ সঙ্গে গাঢ় রঙের ট্রাউজ়ার্সের যুগলবন্দি দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু এমন রঙের পোশাকও স্থূলদের জন্য নয়। হালকা, একরঙা পোশাক পরলে এই ধরনের সমস্যা অনেকাংশেই এড়ানো যায়।
৫) পোশাকের ফ্যাব্রিক
স্থূলদের পোশাক কেনার সময়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হয় ফ্যাব্রিক নির্বাচনে। শাড়ি বা ড্রেসের ক্ষেত্রে রেয়ন, জর্জেট, শিফন, ক্রেপ— পরা যেতেই পারে। তা ছাড়া নরম, সহজে ভাঁজ করা যায় এমন ফ্যাব্রিকের পোশাক কিনতে পারেন।