— প্রতীকী চিত্র।
ত্বকের যত্নে রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী নয়, হেঁশেলের নানা রকম মশলার উপরেই ভরসা করেন। ত্বকচর্চায় মশলার ব্যবহার নতুন নয়। প্রাচীন কাল থেকেই এই সব উপাদান রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করার চল। তবে প্রাকৃতিক উপাদান ভেবে মুখে মেখে নিলেই যে সকলের খুব কাজে লাগবে, এমনটা ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। অনেকেরই এই সব মশলা মেখে মুখে র্যাশ বেরোয়, জ্বালা করে, প্রদাহ হতে পারে। তাই ব্যবহার করার আগে জেনে রাখা ভাল, মুখে কোন কোন মশলা মাখা যায় না।
১) দারচিনি
দারচিনি রান্নায় ব্যবহার করলে স্বাদ বাড়ে। এই মশলার গন্ধ উদ্বেগ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু মুখে মাখলে ত্বকে অস্বস্তি বাড়তেই পারে। মুখ জ্বালা করা, লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
২) প্যাপরিকা
মহাদেশীয় খাবারে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের মশলার মধ্যে প্যাপরিকা খুবই জনপ্রিয়। মুখে লঙ্কা বা ক্যাপসিকাম মাখলে যে ধরনের অসুবিধা হতে পারে, প্যাপরিকা মাখলেও কিন্তু তা হবে।
৩) সর্ষে গুঁড়ো
সর্ষের ঝাঁজ, স্বাদ, গন্ধে মাছের যে কোনও পদই সুস্বাদু হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু ত্বকের কোনও উপকারে লাগে না এই মশলা। উল্টে স্পর্শকাতর ত্বকের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪) লবঙ্গ
ব্রণের উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই মুখে লবঙ্গের তেল ব্যবহার করেন। চন্দনের পাটায় লবঙ্গ পিষে ব্রণের উপর মাখার চলও বহু দিনের। তবে সকলের জন্য এই নিদান কার্যকরী না-ও হতে পারে। উল্টে ব্রণ বেড়ে গিয়ে আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে।
৫) গোলমরিচ
গোলমরিচের গুঁড়ো এক্সফোলিয়েটর হিসাবে কাজ করতে পারে এই ভেবে যদি ব্যবহার করতে যান, ত্বকের প্রদাহ কিন্তু কেউ রুখতে পারবে না। সঙ্গে মুখে, সারা গা লাল হয়ে জ্বালাও করতে পারে।