পুজো শেষে এ বার চুলের যত্নে নজর দেওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোয় চুলের উপর অত্যাচার কম হয়নি। সপ্তমীর দিন রাতে পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গে স্ট্রেট চুল তো, অষ্টমীর সকালে সাদা-লাল পাড় শাড়ির সঙ্গে কোঁক়ড়া চুল। হেয়ার ড্রায়ার থেকে কার্লার, পুজোর পাঁচ দিন চুলে নানা রকম যন্ত্রের ব্যবহার কম হয়নি। ফলে উৎসব শেষে মাথায় চিরুনি চালাতেই গোছা গোছা চুল উঠে আসছে হাতে। তবে এমন যে হবে, তা প্রত্যাশিত। কারণ পুজোর সময়ে চুলের আলাদা কোনও যত্ন তো হয়নি বটেই, সেই সঙ্গে খাওয়াদাওয়াতেও একটা অনিয়ম চলেছে। পুজো শেষে এ বার চুলের যত্নে নজর দেওয়া জরুরি। তার জন্য শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করলে হবে না, জীবনযাপনেও একটা বদল আনতে হবে।
সুষম ডায়েট
চুলের খেয়াল রাখতে এ বার খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা জরুরি। বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ায় নজর দিতে হবে। জিঙ্ক, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি আছে এমন খাবার বেশি করে খান। সবুজ শাকসব্জি এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে।
এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন
পুজোয় সিরাম, হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করে চুলের অবস্থা খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। তবে চুলের হাল ফেরাতে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। রোজমেরি, পেপারমিন্ট, ল্যাভেন্ডার তেলের ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত হয়। এ ছাড়াও নারকেল তেল, কাঠবাদাম তেল কিংবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালো ভেরা জেল
ত্বকের যত্নে অ্যালো ভেরা অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। তবে চুলের দেখাশোনা করতেও ব্যবহার করতে পারেন অ্যালো ভেরা। চুল ঝরা আটকানো থেকে চুলে জেল্লা ফেরানো— অ্যালো ভেরা সত্যিই উপকারী।
চুলের বিশেষ যত্নে
উৎসব শেষে কয়েক দিন হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার, কার্লারের ব্যবহার কমানো জরুরি। সালফেট নেই এমন প্রসাধনী ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ঘন ঘন শ্যাম্পু না করে বরং কয়েক দিন অন্তর করুন। কারণ শ্যাম্পুতে রাসায়নিক পদার্থ থাকে। সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া নানা উপকরণ দিয়েও শ্যাম্পু বানিয়ে নিতে পারেন। তা হলে আর সমস্যা হবে না।