কোন কোন অঙ্গে ময়লা জমে বেশি? —ফাইল চিত্র
সুস্থ জীবনযাপনের অন্যতম প্রধান একটি অঙ্গ হল পরিচ্ছন্নতা। বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয় দেহের বিভিন্ন অঙ্গ। তবে কে কোন অঙ্গ বেশি পরিষ্কার করবেন, তার অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তিগত রুচির উপর। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কিছু অংশ বেশি পরিষ্কার করা হয় আর কিছু প্রান্ত থেকে যায় অবহেলিত।
নিউ ইয়র্কের লেনক্স হিল হাসপাতালের চিকিৎসকদের করা একটি গবেষণা বলছে, কোন অঙ্গ সবচেয়ে বেশি অপরিচ্ছন্ন থাকে, তা নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও, এমন বেশ কিছু অঙ্গ রয়েছে যা তুলনামূলক ভাবে কম পরিষ্কার করেন অধিকাংশ নারী-পুরুষই।
কান
কানের ভিতর ও কানের পিছনের অংশে খুবই ময়লা জমে। তাই নিয়মিত পরিষ্কার করা চাই-ই চাই। বিশেষ করে কানের ভিতরে যে হেতু সিবেসিয়াস গ্রন্থির মতো হরেক রকমের গ্রন্থি থাকে, তাই এ সব গ্রন্থির ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় ময়লা জমার আশঙ্কা। নিয়ম করে ঈষদুষ্ণ জলে তুলো ভিজিয়ে মুছে নিতে হবে কানের ভিতর ও পিছনের অংশ।
নখের গর্ত
হাত ধুলেও অনেক সময়ে অপরিষ্কার থেকে যায় নখের কোনা। আর সেই হাতে খাবার খেলেই তৈরি হয় জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা। কোভিডের সময়ে যখন চিকিৎসকরা হাত ধোয়ার কথা বলছিলেন, তখনও নখের গর্ত ভাল করে সাফ করার কথা বলা হচ্ছিল বার বার।
নাভি
নাভির গর্ত খাঁজবহুল। তা ছাড়া, পেটের এই অঞ্চলের উষ্ণতাও দেহের বিভিন্ন অঞ্চলের থেকে কিছুটা বেশি। ঘাম হলে অনেক সময়ে তা ঢুকে যায় নাভির গর্তে। সব মিলিয়ে এই অঞ্চলে বেড়ে যায় জীবাণু বাসা বাঁধার আশঙ্কা। গায়ে জল ঢাললেও নাভির গর্ত পরিষ্কার করা হয় না। কানের মতোই তুলো দিয়ে পরিষ্কার করা যায় এই অঙ্গও।
ঘাড়
ঘাড়ে কী পরিমাণ ময়লা জমে, তা বোঝা যায় সাদা জামার কলার দেখলেই। বিশেষ করে যাঁদের চুল লম্বা, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও গভীর। সে ক্ষেত্রে আরও বাড়ে আর্দ্রতা। প্রতি দিন স্নানের সময় জলে সাবান গুলে ধুয়ে নিতে হবে ঘাড়।
কুঁচকি
গোপনাঙ্গের আশপাশের দীর্ঘ ক্ষণ ঘাম জমে থাকলে হতে পারে ছত্রাকের সংক্রমণ। পরিছন্নতার অভাবে বেড়ে যেতে পারে সমস্যা। কিন্তু কুঁচকি ও সংলগ্ন অঞ্চলের ত্বক খুবই স্পর্শকাতর। তাই এই অংশ মৃদু সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
কনুই
হাতের কনুই এমন একটি অংশ যা বিভিন্ন স্থানে ঘষা লাগে। আর বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ লাগলে, লেগে যায় ময়লাও। তা ছাড়া কনুইয়ের ত্বক অনেক সময়ে খসখসে হয়, ভাঁজও বেশি থাকে। ফলে জমে যায় ময়লা।