কাী ভাবে সবজেই মেকআপ করবেন পুরুষরা? ছবি: সংগৃহীত
প্রসাধনী, রূপটান কি কেবল মেয়েদের জন্যই! মেয়েরা যদি ত্বকের খুঁত ঢাকতে, অন্যের সামনে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে মেকআপ করতে পারেন, নিখুঁত রূপটানে নাক সুউচ্চ করে তুলতে পারেন, তবে পুরুষেরাই বা বাদ যাবেন কেন!
পুরুষদের ক্ষেত্রে চুলের সজ্জা বা দাড়ি ছাঁটা-ই, সাজ হিসাবে ধরা হয়। কেউ যদি মেকআপ করেও ফেলেন, তা হলে তা নিয়ে বন্ধু মহলেই মস্করা শুরু হয়ে যায়। একজন মেয়ে বা মহিলা যদি চান সকলে তাঁর সৌন্দর্যের প্রশংসা করুক, তা হলে আজকের সমাজে একজন ছেলে বা পুরুষই বা আকর্ষণীয় হবেন না কোন দুঃখে? চোখের নীচের কালি, ত্বকের দাগ ছোপ ঢাকতে সঠিক রূপটানের প্রয়োজন হয়। মেয়েদের ত্বকেও যেমন সমস্যা থাকে, ছেলেদেরও থাকে। তাই বস্তাপচা চিন্তাভাবনা উড়িয়ে পুরুষেরাও এ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন আজকাল। ডেটিং হোক বা ইন্টারভিউ কিংবা বিয়ে বাড়ি, সামান্য রূপটানে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন মহিলাদের কাছে কাঙ্খিত।
প্রথম ধাপে কী ভাবে মেকআপ করা শুরু করতে পারেন পুরুষেরা?
মহিলা এবং পুরুষদের প্রসাধনী ও রূপটানের কৌশল আলাদা কিছু নয়। ধাপে ধাপে মেকআপ করতে হবে।
১. প্রথমেই হাত ভাল করে সাবান দিয়ে ধুতে হবে। মুখও ফেস ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার।
২. প্রথমেই চোখের নীচের কালি, মুখের কালচে ছোপ ঢাকতে সঠিক রঙের কন্সিলার ব্যবহার করতে হবে। যে কোনও বড় প্রসাধনীর দোকানে গেলেই, সঠিক রং নির্বাচনে তাঁরা সাহায্য করবেন। আঙুলের ডগায় কন্সিলার নিয়ে কালচে অংশ, ব্রণের দাগ থাকলে সেখানে ভাল করে লাগিয়ে নিতে হবে। আঙুল দিয়েই তা ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া জরুরি।
৩. মেকআপ হালকা হওয়াই বাঞ্ছনীয়। বিশেষত, এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা না থাকলে। কন্সিলারের পর প্রয়োজন ফাউন্ডেশন। ত্বকের বর্ণ অনুযায়ী সঠিক ফাউন্ডেশন বেছে নিতে হবে। কন্সিলার দিয়ে কালচে অংশ ঢাকার পর, সঠিক রঙের ফাউন্ডেশন সারা মুখে টিপ টিপ করে লাগিয়ে, মেকআপ ব্লেন্ডার জলে ভিজিয়ে তা নিঙড়ে জল বার করে, ভিজে ব্লেন্ডার দিয়ে ফাউন্ডেশন ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. ভ্রূ বা দাড়িতে ফাউন্ডেশন লেগে থাকলে বাজে লাগবে। সেক্ষেত্রে ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে নিতে পারেন। প্রয়োজনে মাস্কারা ব্যবহার করে সেই অংশগুলি কালো করে নিতে পারেন।
৫.ঠোঁটে লিপ বাম লাগানো জরুরি। ঠোঁট ফাটা বা শুকনো থাকলে রূপটান সম্পূর্ণ হবে না।
৬. মুখের সঙ্গে চুলেও মানানসই সজ্জা করে নিন। প্রয়োজনে চুলে জেল ব্যবহার করতে পারেন।
৭. দাড়ি, গোঁফ রাখার প্রবণতা থাকলে সঠিকভাবে তা কাটতে ও ছাঁটতে হবে। না হলে পুরো সাজ মাঠে মারা যাবে। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি কিন্তু মোটেই ভাল লাগবে না।
৮. সাজের সঙ্গে জরুরি সঠিক পোশাক নির্বাচন। ডেটিং-এ গেলে যে কোনও শার্ট বা টি শার্ট পরতে পারেন। আবার ইন্টারভিউ থাকলে শার্ট-প্যান্ট, বিয়েবাড়ি হলে পাঞ্জাবি বা পছন্দের পোশাক। পোশাক বাছার সময়ে মনে রাখুন সেটি বেশ খানিকক্ষণ আপনার শরীরটিকে মুড়ে থাকবে। তাই সেটি যেন যথেষ্ট আরামদায়ক হয় সেটি খেয়ালে রাখুন। গন্তব্য এবং তার কার্যকারিতা বুঝে, সঠিক পোশাক নির্বাচন করুন।