জল না দুধ কিসে ভিজিয়ে খাবেন বাদাম, শুকনো ফল? ছবি: সংগৃহীত
আখরোট থেকে আমন্ড, পেস্তা, কিশমিশ, শুকনোর বদলে ভিজিয়ে খেলে ভাল। তবে জলে না দুধে!
অনেকেই আখরোট, আমন্ড, কিশমিশ শুকনো খান। এমনিতে এই সমস্ত বাদাম, কিসমিস শুকনোই খাওয়াই যায়। কিন্তু জানেন কি, শুকনোর চেয়ে ভিজিয়ে খেলে বেশ কিছু উপকার বেশি মেলে।
ভিজিয়ে খেলে কী উপকার?
শুকনো ফল ও বাদাম ভিজিয়ে রাখলে তা নরম হয়ে যায়, সহজেই খোসা উঠে আাসে। দাঁতের সমস্যা থাকলে চিবিয়ে খেতে সুবিধা হয়। পাশাপাশি হজমেও সুবিধা হয়। ভেজানো বাদাম ও ফলের স্বাদ, নিজস্ব মিষ্টত্বও ভাল ভাবে উপভোগ করা যায়। ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেলে পুষ্টিগুণও বেশি মেলে, পাশাপাশি শরীর সামান্য হলেও বাড়তি জল পায়। শুধু তাই নয়, বাদাম ও ফলের বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ শোষণেও শরীরে সুবিধা হয়।
জলে ভিজিয়ে রাখলেও ক্যালোরি বাড়ে না
তবে বাদাম জলে ভিজিয়ে খেলেও এতে ক্যালোরির কোনও পার্থক্য হয় না। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন, তাঁরা স্বচ্ছন্দে ভেজানো বাদাম খেতে পারেন।
দুধ না জল?
প্রশ্ন হল শুকনো ফল বা বাদাম কিসে ভেজানো উচিত? জলের বদলে দুধে ভেজালে বাড়তি পুষ্টিগুণ কী পাওয়া সম্ভব?
দুধ সুষম খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, আয়রণ, ভিটামিন ও রকমারি খনিজ থাকে। বাদাম বা শুকনো ফল দুধে ভেজালে সেই পুষ্টিগুণও বাদামের পুষ্টিগুনের সঙ্গে জুড়ে যায়। শুধু তাই নয়। দুধের স্বাদ তাতে যুক্ত হয়। দুধে ভেজানো বাদাম ও ফল স্মুদি তৈরির সময় ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদও বেড়ে যায়। পাশাপাশি দুধ শরীরে গেলে জলের ঘাটতিও কিছুটা পূরণ হয়। ফলে বাদাম ও ফলের পুষ্টিগুণ, স্বাদ বৃদ্ধিতে জলের বদলে দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
কারা খাবেন না?
দুধে থাকে ‘ল্যাকটোজ’ নামক এক প্রকারের শর্করা। এই শর্করা হজম করার জন্য ‘ল্যাকটেজ’ নামে একটি বিশেষ ধরনের উৎসেচকের প্রয়োজন। যাঁদের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই উৎসেচক উৎপন্ন হয় না, তাঁদের দুধ খেলে সমস্যা হয়। ফলে পেট ফাঁপা, বদহজম ও বমি বমি ভাবের মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। এই ধরনের মানুষকে বলা হয় ‘ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্ট’। এই ধরনের সমস্যা থাকলে বা পেটের সমস্যা হলে, দুধে ভিজিয়ে ফল না খাওয়াই ভাল। তখন জলে ভিজিয়েই এসব বাদাম, কিশমিশ খাওয়া উচিৎ।