ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে চিয়া বীজ। দিনের শুরুতেই চিয়া ভেজানো জল খান অনেকে। আবার, আইসক্রিম বা পুডিংয়ের মতো খাবারকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতেও চিয়া মিশিয়ে খাওয়া যায়। সকালে জলখাবারে অনেকে দুধ-কর্নফ্লেক্স বা দুধ-ওট্স খান। তার মধ্যেও অল্প চিয়া মিশিয়ে নিলে মন্দ হয় না। তবে সমস্যা হল, সব কিছুর সঙ্গে চিয়া বীজ খাওয়া যায় না। পুষ্টিগুণের কথা ভেবে যে কোনও খাবারের সঙ্গে চিয়া বীজ মিশিয়ে খেলে উপকার তো হবেই না, উল্টে হিতে বিপরীত হতে পারে।
চিয়া বীজের সঙ্গে কোন কোন খাবার খেলে সমস্যা হতে পারে?
১) অতিরিক্ত চিনি:
চিয়া বীজের নিজস্ব কোনও স্বাদ নেই। তাই স্মুদি বা পুডিংয়ে এই বীজ মিশিয়ে খেতে গেলে একটু চিনি দিতেই হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন শুধু চিনি নয়, গুড়, মিষ্টি সিরাপ বা মধুও মেশানো ঠিক নয়। এতে অযথা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। আর এই ছোট্ট ভুলে চিয়ার পুষ্টিগুণ চাপা পড়ে যায়।
২) কৃত্রিম শর্করা:
দোকান থেকে কেনা আইসক্রিম বা স্বাস্থ্যকর পানীয়ের মধ্যে কৃত্রিম শর্করা থাকে। অনেকেই এই জাতীয় খাবারের সঙ্গে চিয়া বীজ মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন। কৃত্রিম শর্করার মধ্যে অ্যাসপার্টাম এবং সুক্রালোজ় জাতীয় উপাদান থাকে। যেগুলি চিয়া বীজের সঙ্গে খেলে হজমের গোলমাল হতে পারে।
৩) অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট:
আইসক্রিমের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। এই ধরনের খাবারের সঙ্গেও চিয়া বীজ মেশানো ভাল নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন আইসক্রিম, ফ্যাট-যুক্ত দুধ, মাখনের মতো খাবারের সঙ্গে চিয়া খেলে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তার চেয়ে বরং বিভিন্ন রকম বাদাম, বীজের সঙ্গে চিয়া খাওয়া ভাল।
৪) নোনতা খাবার:
নানা রকম সব্জি বা ইয়োগার্ট দিয়ে তৈরি স্যালাডে অল্প নুন যোগ করলে খেতে ভাল লাগে। কিন্তু নোনতা কোনও খাবারের সঙ্গেই চিয়া বীজ খাওয়া যায় না। এতে রক্তচাপ কিংবা হার্ট সংক্রান্ত জটিলতা বৃদ্ধি পায়।
৫) মশলা-যুক্ত খাবার:
চিয়া বীজের সঙ্গে কাঁচালঙ্কা, লঙ্কা গুঁড়ো কিংবা গোলমরিচ দেওয়াও যুক্তিযুক্ত নয়। ঝাল এবং চিয়া একসঙ্গে খেলেও হজমের গোলমাল বাধতে পারে।