নীতা অম্বানী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
দেশের অন্যতম ধনকুবেরের ঘরনি তিনি। মুকেশ অম্বানীর স্ত্রী নীতা অম্বানীর অবশ্য আলাদা করে কোনও পরিচয় লাগে না। নীতা সাজগোজ বরাবরই নজর কাড়ে সকলের। কখনও নীতার পরনের শাড়ি নিয়ে চর্চা হয়, কখনও আবার নীতার কোটি কোটি টাকার গয়না নিয়ে নেটমাধ্যমে তোলপা়ড় হয়। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতেও উৎসুক অনেকেই। ইতিমধ্যেই দিদা-ঠাকুরমা হয়েছেন নীতা। তবু তাঁর সাজগোজ দেখে তা বোঝার উপায় নেই। শাড়ি কিংবা লেহঙ্গা, চুড়িদার হোক কিংবা ইন্দো-ওয়েস্টার্ন গাউন— সবেতেই মোহময়ী রূপে ধরা দেন মুকেশ-পত্নী। নীতার নজরকাড়া সাজ দেখে দুর্বল হয় বহু পুরুষহৃদয়। জানেন, নীতার এই সাজের নেপথ্যে কে?
নীতা অম্বানীর রূপটানশিল্পী হলেন মিকি কন্ট্র্যাকটর। রিল্যায়েন্সের কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা ছোট ছেলের প্রাক্-বিবাহ উদ্যাপন, নীতাকে সাজানোর দায়িত্বে থাকেন মিকি। কেবল নীতাই নয়, নীতার বৌমা শ্লোকা অম্বানী ও মেয়ে ঈশা অম্বানীরও মেকআপ করেন মিকি। বলিপাড়াতেও বেশ পরিচিত মুখ তিনি।
‘হম আপকে হ্যায় কওন’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘কল হো না হো’, ‘মাই নেম ইজ় খান’, ‘কার্তিক কলিং কার্তিক,’ ‘ভিরে দি ওয়েডিং’-এর মতো ছবিতে রূপটানশিল্পী হিসাবে কাজ করেছেন মিকি। করিনা কপূর খান, দীপিকা পাড়ুকোন, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন এবং অনুষ্কা শর্মার সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। কেশসজ্জাশিল্পী হিসাবে কর্মজীবনের সূচনা করলেও এখন বলিপাড়ার প্রথম সারির রূপটানশিল্পীদের মধ্যে মিকি বেশ জনপ্রিয়।
এক জনের মেকআপ করে মিকি ৭৫ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। মিকির মাসিক আয় বড় কোনও বহুজাতিক সংস্থার সিইওদের থেকেও অনেক বেশি।