প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
বিটনুন, জিরে গুঁড়ো মাখানো কাঁচা-মিঠে আম খেতে কার না ভাল লাগে? গরমে ডাল-ভাতের সঙ্গে কাঁচা আমের চাটনি, অম্বল কিংবা আচার তো আছেই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, কাঁচা আম কিন্তু ত্বকের জন্যেও সমান উপকারী। কাঁচা আমে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়াও কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। এই তিনটি উপাদান ত্বকের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা আম দিয়ে তৈরি প্যাক সপ্তাহে দু-তিন দিন মুখে মাখলে ব্রণ, বলিরেখা কিংবা ডার্ক সার্কলের মতো অনেক সমস্যাই দূর হতে পারে। দেখে নিন, ত্বকের কোন সমস্যায় কী ভাবে কাঁচা আম মাখতে হবে।
১) কয়েক টুকরো কাঁচা আম মিক্সিতে বেটে নিন। তার পর ওট্সের গুঁড়োর সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। খুব ঘন হয়ে গেলে সামান্য পরিমাণে কাঁচা দুধ কিংবা গোলাপ জল মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ মিনিট পনেরো মুখে মেখে রাখুন। তার পর হালকা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) কাঁচা আম ধুয়ে, ছাড়িয়ে তার খোসা ফেলে দেবেন না। খোসার ভিতরের দিকে অল্প গোলাপ জল দিয়ে চোখের তলায় হালকা হাতে ঘষতে থাকুন। চোখের তলার কালি, ফোলা ভাব সহজেই দূর হবে।
৩) গরমে ত্বক জেল্লা হারাচ্ছে? কাঁচা আম বেটে তার সঙ্গে অল্প টক দই ভাল করে মিশিয়ে নিন। মুখ যদি তৈলাক্ত হয়, তা হলে এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে বেসন মিশিয়ে নিতে পারেন। মিনিট কুড়ি এই প্যাক মুখে মেখে রেখে দিন। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর ত্বকের জেল্লা দেখে চমকে উঠবেন।
৪) ঠোঁট, চোখের পাশে বলিরেখা পড়ছে? এখন থেকে যত্ন নিলে বলিরেখা খুব স্পষ্ট হবে না। তার জন্য কী করতে হবে? কাঁচা আম বেটে তার সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। মিনিট দশেক এই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। নিয়ম করে এই প্যাক মাখলে ত্বক হবে টান টান।
৫) কাঁচা আম চটকে তার সঙ্গে অল্প মধু মিশিয়েও মাখা যেতে পারে। মিনিট কুড়ি মুখে এই প্যাক মেখে রেখে দিন। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হবে। আর্দ্রতা বজায় থাকবে।