Egg Use For Hair

চুল ভাল রাখতে ডিম মাখছেন? সাদা অংশ না কুসুম, কোনটা মাখবেন জানেন তো!

চুল পড়া বন্ধ করা হোক বা নতুন চুল গজানো, প্রয়োজন পুষ্টির। সেই পুষ্টির অনেকটাই জোগাতে পারে ডিম। কিন্তু যে কোনও ধরনের চুলেই কি ডিম মাখা যাবে? চুলে ডিম দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে নিন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ১৮:৩৫
চুলে শুধু ডিম লাগালেই হবে না, সঠিক পদ্ধতিও জানা দরকার।

চুলে শুধু ডিম লাগালেই হবে না, সঠিক পদ্ধতিও জানা দরকার। ছবি: সংগৃহীত।

চুল নিয়ে বছরভরই নানা রকম সমস্যায় ভোগেন কেউ কেউ। ঋতুবদলের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাও বদলে যায়। তবে বর্ষা এলেই অনেকের চুল পড়া বেড়ে যায়। চুল পড়া যদি বা বন্ধ হয়, প্রশ্ন থেকে যায়, যে চুল ঝরে গেল, সে আর ফিরবে কি?

Advertisement

নতুন চুল গজানো, চুলের বৃদ্ধি ও ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে ডিম। এতে থাকা ভিটামিন এ, ডি এবং কে মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক হয় ডিমে থাকা প্রোটিন। এতে থাকে ‘বায়োটিন’ নামে একটি উপাদান, যা চুল মজবুত করে। ডিমে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।

ডিম মাখার সঠিক পদ্ধতি

প্রথমত, চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ডিমের সংখ্যা নির্বাচন করতে হবে। মাঝারি চুলে দুটো ডিম লাগবে।

দ্বিতীয় কাজ হবে ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম আলাদা করে নেওয়া। কারণ, তৈলাক্ত চুলের জন্য ডিমের সাদা অংশ ভাল। তবে চুল যদি রুক্ষ হয়, তা হলে কিন্তু বেশি কাজ দেবে ডিমের কুসুমই। তবে চুল যদি অতি রুক্ষ বা তৈলাক্ত কোনওটাই না হয়, সে ক্ষেত্রে পুরো ডিম ব্যবহার করতে হবে। অবশ্য চুলের প্রকৃতি না জেনে ঠিকমতো ডিম ব্যবহার করতে না পারলে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে না।

এর পর ডিমের দু’ধরনের অংশ পৃথক ভাবে ফেটিয়ে নিন। তৈলাক্ত চুল হলে শুধু সাদা অংশ আর রুক্ষ হলে কুসুম ব্যবহার করুন।

কী ভাবে চুলে লাগাবেন ডিম?

১. ভেজা চুলে ডিম মাখতে হবে। তবে চুল কিন্তু ঠান্ডা জলে নয়, হালকা গরম জলে ভিজিয়ে নিতে হবে। এতে চুলের কিউটিকল খুলে যাওয়ায় ডিমের পুষ্টি শোষণে সহায়ক হবে।

২. মাথার তালু থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত খুব ভাল করে ডিমের মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে।

৩. ডিমের মিশ্রণ লাগানোর পর হালকা হাতে তালুতে মাসাজ করতে হবে। এতে প্রতিটি চুলে ডিমের অংশ ভাল ভাবে মিশবে।

৪. মাসাজের পর চুল শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ২০ মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা এ ভাবেই চুল রেখে দিন।

৫. ঠান্ডা জল দিয়ে চুল খুব ভাল করে ধুতে হবে। গরম জল কোনও ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। তা হলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে। ডিমের অংশ চুলে যাতে না লেগে থাকে, সে জন্য মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement