ছবি- সংগৃহীত
মহিলাদের ক্ষেত্রে ওয়াক্সিং পুরুষদের দাড়ি কাটা বা শেভিং দুই ক্ষেত্রেই ‘ইনগ্রোন হেয়ার’ বা ত্বকের ভিতর রোম গজিয়ে ওঠার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই। ওয়াক্স করার পর দিনকয়েক ত্বক এতটাই মসৃণ থাকে যে দেখে মনে হয়, ‘মাছি পিছলে যাবে’। কিন্তু কয়েক দিন পরই রোম বাড়তে শুরু করলেই আসল রূপ ধরা পড়ে। তখন ছোট ঝুলের পোশাক পরতেও খারাপ লাগে। কারণ, রোম পুরোপুরি ভাবে না বেরোলেও কাঁটার মতো হাতে ফোটে। ছেলেদের মুখেও তেমন সমস্যা দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়াক্সিং বা শেভিং-এর পর, আবার রোম গজাতে শুরু করলে যদি তা ত্বকের উপরিভাগে আসতে বাধা পায়, তখন ‘ইনগ্রোন’ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ত্বকের ভিতর ভিতর বাড়তে থাকে, তাই ইনগ্রোন। কখনও কখনও দীর্ঘ ক্ষণ ত্বক চাপা পোশাক পরলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কী করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?
১) এক্সফোলিয়েট
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওয়াক্স বা শেভিং করার আগে এবং পরে এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষ উঠে গেলে, রোমকূপও পরিষ্কার হয়ে যায়। তখন রোম বেড়ে উঠতে বাধা পায় না। ত্বক মসৃণ রাখতে অনেকেই ঘন ঘন ওয়াক্স করান। ওয়াক্সের ক্ষেত্রে অন্তত পক্ষে ৪ সপ্তাহের ব্যবধান রাখা জরুরি।
২) ময়েশ্চারাইজ
রোম তুলে ফেলার পর ত্বকের আর্দ্রতা অনেকটাই কমে যায়। তাই বেশি করে ময়েশ্চারাইজার মাখতেই হবে। বিশেষ করে স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েট করার পর ত্বক খসখসে হয়ে যায়। ময়েশ্চারাইজার ত্বকে জলের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।
৩) খুঁটবেন না
ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি জাতীয় কিছু দেখলেই অনেকে খুঁটে ফেলেন। ত্বকের ভিতর এই ধরনের কিছু দেখলে ত্বকের উপরিভাগের চামড়া খুঁটে তুলে, সেখান থেকে কুণ্ডলী পাকানো ছোট ছোট রোমগুলি টেনে তুললে ফলিকলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু তাই নয়, সেখান থেকে ত্বকে সংক্রমণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সংক্রমণের ফলে ত্বকে যদি কোনও দাগ হয়ে যায়, তা সহজে দূর হতে চায় না।