প্রেমের দিবসে প্রিয়জনের নামে ট্যাটু করিয়ে তাঁকে চমকে দেবেন ভাবছেন? ছবি: সংগৃহীত।
তরুণ প্রজন্মের কাছে ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’। কেউ প্রেমিক-প্রেমিকার নামে ট্যাটু করাচ্ছেন, কেউ আবার গোটা শরীরটাকেই ক্যানভাসে পরিণত করছেন। দিন দিন বেড়ে চলেছে ট্যাটুর জনপ্রিয়তা।
প্রেমের দিবসে প্রিয়জনের নামে ট্যাটু করিয়ে তাঁকে চমকে দেবেন ভাবছেন? তবে যন্ত্রণার ভয় দোটানায় পড়েছেন? জানেন কি ট্যাটু করানোর আগে ও পরে মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম? কোথা থেকে ট্যাটু করাচ্ছেন, সেটিও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ট্যাটু করানোর আগে কী কী কাজ করলে ব্যথা কম লাগবে, রইল তার হদিস।
১) ট্যাটু করানোর আগে যে জায়গা থেকে করাবেন, সেই ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে নিন। ট্যাটু শিল্পী অভিজ্ঞ কি না, যাচাই করে নিন।
২) শরীরের কোন অংশে ট্যাটু করালে ব্যথা কম লাগবে। সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে নিন। সাধারণত উরু, হাত, পিঠ, কাঁধ— এই সমস্ত জায়গায় ট্যাটু করালে ব্যথা কম লাগে। জীবনে প্রথম ট্যাটু করাতে চাইলে এই অংশগুলিই বেছে নিন।
৩) আগের দিন রাত জেগে পার্টি করেছেন আর পরের দিন ট্যাটু করাতে ছুটলেন— এমন ভুল করবেন না। ট্যাটু করাতে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। শরীরে ক্লান্তি থাকলে ব্যথাও বেশি হবে।
৪) কোনও ভাইরাল জ্বরে ভুগছেন কিংবা সর্দিকাশিতে জর্জরিত— এমন পরিস্থিতিতে ট্যাটু করাতে না যাওয়াই ভাল। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা এই সময় দুর্বল থাকে। ফলে ব্যথাও বেশি হয়, সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে।
৫) ট্যাটু করানোর পর ২৪ ঘণ্টা মদ্যপান করবেন না। মদ্যপান করলে ব্যথা বেশি হয়, শরীরে ডিহাইড্রেশন বাড়ে এবং রক্তও তরল হয়।
ট্যাটু করাতে গিয়ে সবারই যে একই রকম ব্যথা হয়, এমনটা কিন্তু নয়। বয়স, ত্বক কী রকম— এই সব বিষয়ের উপরেও ব্যথা কতখানি হবে, তা নির্ভর করে। আপনার ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, তা হলে ব্যথা বেশি হবে। বয়স বেশি হয়ে গেলে চামড়া কুঁচকে যায়, সে ক্ষেত্রেও কিন্তু বেশি ব্যথা হয়। রক্ত সম্পর্কিত কোন রোগ থাকলে বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বেশি ব্যথা হতে পারে। ট্যটু করার আগে এই সব বিষয়গুলি নিয়েও সতর্ক থাকুন।