কালচে ছোপ কেন পড়ছে, তার কারণ জানাটা আগে জরুরি। ছবি : সংগৃহীত।
শীতের আরাম রোদ্দুরে গা সেঁকে নেওয়ায়। কিন্তু কুয়াশা কাটিয়ে ওঠা সকালের মিষ্টি রোদ যতই ভাল লাগুক, তা থেকে ত্বকে কালচে ছোপ পড়তে পারে। মুখের ত্বকে দাগছোপ পড়লে স্বাভাবিক জেল্লা নষ্ট হয়। ত্বকও অমসৃণ দেখায়। রূপটান শিল্পীরা বলছেন, ত্বকের পিগমেন্টেশন বা কালচে ছোপ তোলার থেকে জরুরি আগে থেকে সতর্ক হওয়া।
কী ভাবে সতর্ক হবেন?
১। সানস্ক্রিন: ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, রোদে থাকা অতিবেগনি রশ্মি ত্বকের কালচে ভাবের বড় কারণ। তাই ঘরের ভিতরে থাকলেও সকালে অন্তত এসপিএফ ৩০ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
২। লিপ বাম: সাধারণত কালচে ছোপ পড়ে ঠোঁটের চারপাশে। এই কালচে ছোপের বড় কারণ ত্বকের আর্দ্রতা কমে যাওয়া। শীতকালে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ায় অনেকেই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেন। এতে ডিহাইড্রেশন বাড়ে। আর্দ্রতা আরও কমে যায়। কালচে ছোপ পড়ে দ্রুত। তাই ঠোঁট লিপ বাম ব্যবহার করুন।
৩। জল খাওয়া: যেহেতু ত্বক আর্দ্রতা হারালে কালচে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাই জল বেশি করে খান। সারাদিন ফল, শাক-সব্জি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টযুক্ত খাবার খেয়ে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখুন। তা হলেও কালচে ছোপ পড়া আটকানো যাবে।
৪। হরমোন: অনেক সময়েই হরমোনের ভারসম্য বজায় না থাকলে ত্বকে কালচে ছোপ পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে হরমোনের চিকিৎসা করানো জরুরি।
ঘরোয়া ভাবে কালচে ছোপ থেকে মুক্তি
ত্বকে কালচে ছোপ পড়লে ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি সম্ভব। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে কী কারণে কালচে ছোপ পড়ছে তার উপর। হরমোনের ভারসম্য নষ্ট হওয়ার কারণে যদি কালচে ছোপ পড়ে তবে শুধু ঘরোয়া ফেসপ্যাকে কাজ হবে না। আবার যদি ত্বকের আর্দ্রতা কমে যাওয়ার জন্য ছোপ পড়ে থাকে, তা হলেও আগে আর্দ্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। তার পাশাপাশি ঘরোয়া ফেসপ্যাক লাগানো যেতে পারে।
কী ভাবে বানাবেন ফেসপ্যাক?
আলু থেঁতো করা রস, অ্যালোভেরার জেল, হলুদ এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে সাধারণ তাপমাত্রার জলে ধুয়ে নিন। নিয়মিত ওই প্যাক লাগালে কালচে ছোপ কমবে।