Dry Skin Care Routine

শীত আসার আগেই ঠোঁট, মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে? রুক্ষ ত্বকে জৌলুস আনতে কী ভাবে পরিচর্যা করবেন?

ঘুম থেকে উঠলেই ত্বক শুষ্ক মনে হচ্ছে? টান ধরছে? বুঝতে হবে, ত্বকের বিশেষ ভাবে যত্ন নেওয়ার সময় হয়েছে। শীতেও ত্বকের জৌলুস ধরে রাখতে কী ভাবে রূপচর্চা করবেন?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:১১
মুখে কি টান লাগছে? দ্রুত শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে ত্বক? জেনে নিন পরিচর্যার উপায়।

মুখে কি টান লাগছে? দ্রুত শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে ত্বক? জেনে নিন পরিচর্যার উপায়। ছবি: ফ্রিপিক।

গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা, কারও কারও ত্বক বছরভরই শুষ্ক থাকে। শীত এলে তো কথাই নেই! কারও ত্বক এমনিতে শুষ্ক না হলেও, শীতের শুরুতে মুখে, গায়ে টান ভাব দেখা দেয়, খড়ি ফোটে।

Advertisement

আসলে দুর্গাপুজোর পর থেকে সময় যতই এগোয়, ক্রমশ বদলাতে থাকে আবহাওয়া। এই সময় থেকে বাতাসে ক্রমশ জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমতে থাকে। তার জেরেই ত্বক ক্রমে শুষ্ক হয়ে যায়। প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। কী ভাবে রুক্ষ ত্বকের পরিচর্যা করবেন?

ক্লিনজ়িং

ত্বকের ধুলো-বালি, তেল-ময়লা ধুয়ে ফেলতে ক্লিনজ়িং প্রয়োজন। প্রতি দিনই মুখ ধোয়া দরকার। তবে ত্বকে শুষ্কতা বাড়তে থাকলে ক্নিনজ়িংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজ়িং জরুরি। এই সময় শুষ্ক ত্বকের জন্য তৈরি ফেসওয়াশ বেছে নিতে পারেন। কিছু কিছু ফেসওয়াশে এমন উপাদান থাকে, যা ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক হতে দেয় না। ক্লিনজ়িংয়ের পরেই ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

আর্দ্রতা

ত্বককে গভীর ভাবে আর্দ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজ়ার ছাড়াও ক্রিম বেছে নিতে পারেন। গ্লিসারিন, হাইলুরুনিক অ্যাসিড আছে, এমন কিছু প্রসাধনীও বেছে নিতে পারেন। শীতে ত্বকের যত্নের জন্যেই বিশেষ ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। যা ত্বককে বাড়তি আর্দ্রতা জোগায়।

মাস্ক

ত্বক ভাল রাখতে রাতের পরিচর্যা খুব জরুরি। এই সময় ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং আর্দ্র রাখে, এমন মাস্ক ব্যবহার করা দরকার। ঘুমের আগে এই ধরনের মাস্ক ব্যবহারে ত্বক বাড়তি সুরক্ষা পায় ত্বক। হাইলোরুনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন, সেরামাইডস রয়েছে, এমন কোনও মাস্ক বেছে নিতে পারেন।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড

ত্বকের জৌলুস ফেরাতে শুধু রূপচর্চাই জরুরি নয়, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং শরীরচর্চাও প্রয়োজন। খাবারের তালিকায় রাখতেই হবে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস, বাদাম, আখরোট, পেস্তায় এই উপাদানটি পাওয়া যায়। তা ছাড়া বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছেও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। বিভিন্ন বীজ, যেমন তিল, তিসিতেও থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। প্রতি দিনের ডায়েটে এগুলি রাখা জরুরি।

জল

শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সমাধানে জল খাওয়া একান্তই জরুরি। জল খেলে শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র থাকবে। প্রতি দিন এক জন সুস্থ এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ২-৩ লিটার জল খেতে পারেন। জল ছাড়াও, ফল, স্যুপ খেলে জলের ঘাটতি পূরণ হবে। ফলের তালিকায় রাখতে পারেন শসা, তরমুজ। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকমের লেবু শুধু জলের ঘাটতি পূরণ করবে না, এতে থাকা ত্বকের জন্য উপযোগী বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজও শরীরকে জোগাবে।

আরও পড়ুন
Advertisement