এখনও অনেকের মনে স্বমহিমায় রয়েছেন মনরো। ছবি: সংগৃহীত
মৃত্যুর পর পেরিয়েছে অর্ধ শতকেরও বেশি। তবু আজও তিনি জনপ্রিয়, আকর্ষণের কেন্দ্রে। সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে তৈরি একটি ছবি হলিউডের এই নায়িকাকে ফিরিয়ে এনেছেন চর্চার কেন্দ্রে।
তিনি মেরিলিন মনরো। তাঁকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। এমন মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া সৌন্দর্য সকলের যে থাকে না। মেরিলিনের ছিল। তাঁর সৌন্দর্যের রশিতে যে কত পুরুষের মনের নৌকা বাধা ছিল, তাঁর ইয়ত্তা নেই। শুধু ছিল কেন, এখনও আছে। এখনও অনেকের মনে স্বমহিমায় রয়েছেন মনরো। এমন লাস্যময়ী অভিনেত্রীকে নিয়ে গোটা বিশ্বে ধারাবাহিক ভাবে চর্চা হয়ে এসেছে। তিনি বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম ‘সেক্স সিম্বল’। কেবল সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি নন, আবেদনময়ী মনরো ছিলেন যৌনতার প্রতীকও। ব্যক্তিগত জীবনে ফাটল এলেও অভিনেত্রী হিসাবে তিনি থেকে গিয়েছেন মধ্যগগনে। ‘অল অ্যাবাউট ইভ’, ‘রাইট ক্রস’, ‘লভ নেস্ট’— এমন দুনিয়া কাঁপানো ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। মনরোর মৃত্যুর এত বছর পরও সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর জীবনী-নির্ভর ছবি ‘ব্লন্ড’।
অনেকেরই মনে হয়, মেরিলিনের সৌন্দর্য তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের উথালপাথালের কারণ। একসঙ্গে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন তিনি। সকলেই এক বার তাঁর সান্নিধ্য পেতে মরিয়া হয়ে উঠতেন। যেখানেই যেতেন, মেরিলিনের লাস্য তখন ঘিরে রাখত সকলকে। তাঁর যে কোনও ত্রুটিও ঢাকা পড়ে যেত সৌন্দর্যের অন্তরালে। আমেরিকার স্পন্দন ছিল মনরো। তামাম বিশ্ব যাঁর সৌন্দর্য বেঁহুশ হয়ে থাকত, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কী ভাবে আকর্ষণের শীর্ষস্থানটি ধরে রাখলেন তিনি? তাঁর রূপ-লাবণ্যেরর আসল রহস্য কী?
রোদ বাঁচিয়ে চলতেন
সূর্যের আলো তাঁকে ছুঁতে পারত না। সূর্যের স্পর্শ থেকে দূরে থাকতেন। সব সময়ে সতর্ক থাকতেন যাতে রোদ তাঁর গায়ে এসে না পড়ে। মনরোর বাড়ি এবং গাড়িতেও তেমন ব্যবস্থা ছিল। যাতে রোদ না ঢুকতে পারে। শরীরের কোথাও যাতে এতটুকু ট্যান না পড়ে, তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা।
পর্যাপ্ত ঘুমাতেন
মনরোর রূপচর্চার তালিকায় একটি বড় অংশ জুড়ে থাকত ঘুম। কাজ না থাকলে শুটিংয়েও অনেক সময় ঘুমিয়ে নিতেন তিনি। বাড়িতে থাকলেও অনেক সময়ে চোখ বন্ধ করে থাকতেন। মেরিলিন মনে করতেন, ঘুম হচ্ছে নারীর সৌন্দর্যের অন্যতম চাবিকাঠি। ঘুমের ঘাটতি থাকলে তাঁর প্রভাব পড়ে ত্বকে এবং শরীরে। অকালবার্ধক্য চলে আসে। শরীরের লাস্য হারিয়ে যায়।
রাতে অনাবৃত হয়ে ঘুমাতেন
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ভেবে রাত পোশাক ছাড়া বিছানায় যেতেন তিনি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার কী প্রভাব ত্বকে পড়তে পারে, সে ব্যাপারে অবগত ছিলেন। তাই ঘুমের সময়ও কোনও ঝুঁকি নিতেন না। পোশাকহীন ভাবে ঘুমাতেন। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রিয় একটি সুগন্ধি সারা শরীরে মেখে নিতেন।
বরফজলে স্নান
মেরিলিনের সৌন্দর্যের আরও একটি রহস্য হল বরফগলা জলে স্নান করা। ঠান্ডা জল ত্বকের সজীবতা, কোমলতা বজায় রাখে। ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে এই হিমঠান্ডা জল নাকি দারুণ কার্যকরী। তিনিও সেটাই করতেন। সেই জলে দারুণ গন্ধযুক্ত একটা তেল মেশানো থাকত। ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখত সেই গোপন প্রসাধনীই।
চর্মরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
প্রতি দিন চর্মরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে দিনের একটি সময়ে ত্বকের পরিচর্যার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতেন। ত্বকে একটা দাগ বা ব্রণও তিনি সহ্য করতে পারতেন না। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতেন। তিনি নাকি সারা দিনে অসংখ্য বার মুখ ধুতেন। বহুমূল্যের প্রসাধনী ব্যবহার করতেন।
প্রতি দিন শরীরচর্চা করা
নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেন তিনি। ওজন তুলতেন। শরীরচর্চায় কোনও দিন ফাঁকি দিতেন না। যত ক্ষণ না ক্লান্ত হয়ে পড়ে যাচ্ছেন, শরীরচর্চা জারি রাখতেন।