পুজোর ক’দিন কেশসজ্জা হতে হবে পোশাকের মানানসই। ছবি: সংগৃহীত
পুজো প্রায় দোরগোড়ায়। পুজো মানে জামাকাপড়ই তো আর শেষ কথা নয়! রয়েছে সাজগোজও। হালকা মেক আপ করে নিলেও বাদ পড়ে যায় চুলের সাজ। পুজোয় ঠাকুর দেখার সময় হোক কিংবা বন্ধুর বাড়ির আড্ডা, হয় খোলা চুল আর না হয় খোঁপাতেই সেজে ওঠেন অধিকাংশে। অথচ ভিড়ের মাঝে সকলের নজর কাড়তে চুলের বাঁধনই যথেষ্ট!
মাথায় রাখুন, কেশসজ্জা হতে হবে পোশাকের মানানসই। পুজোর ক’দিন সাবেকি পোশাকের দিকেই ঝোঁকেন মেয়েরা, আবার দু’-এক দিনের জন্য ফিউশনের চাহিদাও রয়েছে তুঙ্গে। তাই চুলের স্টাইল এমন করুন, যা দু’ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায়। কী ভাবে সাজতে পারেন?
লো মেসি বান:
ঘাড়ের উপর আলুথালু খোঁপাকেই লো মেসি বান বলে। এর জন্য খুব পারদর্শী হওয়ার প্রয়োজন নেই। পাড়ার মণ্ডপে আড্ডা দেওয়াই হোক বা সবাই মিলে রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া— হইহুল্লোড়ের মধ্যেও শান্ত, স্নিগ্ধ দেখাবে আপনাকে। হালফিলে এই স্টাইল বেশ ‘ট্রেন্ডি’!
হাই টপ বান
সব চুল একসঙ্গে জড়ো করে মাথার একেবারে উপরের দিকে খোঁপা বাঁধুন। সামনের দিয়ে খানিকটা চুল বার করে রাখতে পারেন। কুর্তি হোক বা জিন্স, সব পোশাকের সঙ্গেই যাবে চুল বাঁধার এই কায়দাটি।
হেয়ার নট পনিটেল
প্রথমে এক পাশে সিঁথি করুন। বাঁ দিকে সিঁথি করলে সেখান থেকে কান পর্যন্ত চুল পাঁচ ভাগে ভাগ করে নিন। এই চুল টুইস্ট করে মাথার পিছনে নিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। পিছনের সব চুল ডান দিকে নিয়ে আসুন। খেয়াল রাখা জরুরি, টুইস্টেড হেয়ারের উল্টো দিকেই পনিটেল হবে। পনিটেলের জন্য কিছু চুল রেখে অল্প চুলের গোছা বার করুন। সেটা দিয়ে পনিটেল জড়িয়ে নট বাঁধতে বাঁধতে শেষ অবধি এসে বেঁধে নিন।
ফ্রেঞ্চ ব্রেড
এই ধরনের বিনুনি উৎসবের সাজের সঙ্গে দারুণ মানায়। সামনেটা দু’ভাগে ভাগ করে ফ্রেঞ্চ ব্রেড করতে পারেন।
কিছু চুল বার করে রাখুন। বাকি চুলে কার্লার দিয়ে হাল্কা ঢেউ তৈরি করে নিতে পারেন।