সুতির কুর্তি পরুন ভিন্ন কায়দায়! ছবি: সংগৃহীত
আমাদের এই গ্রীষ্মপ্রধান দেশে সুতির পোশাকের চাহিদা চিরকালই বেশি। ব্যস্ত জীবনযাত্রায় দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কাটে বাড়ির বাইরে। তাই গরমে আমাদের স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিতে সুতির পোশাকের কোনও জবাব নেই। বাংলার সুতোর কদর করে সারা বিশ্ব। তবে এখন এই সুতির দাম আকাশছোঁয়া। তাই খাঁটি সুতি পকেটসই দামে ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া বিক্রেতাদের কাছে এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ! সারা বছর জিনস, টপ, ওয়ান পিস পরলেও পুজোর ক’দিন দেশের পোশাকই থাকে আমাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। পুজোতে সাজব অথচ আরামও পাব এমনটা চাইলে ভরসা রাখুন সুতির নকশা ও সুতির কাপড়েই।
অনেকের ধারণা, উৎসবের সাজের সঙ্গে সুতির পোশাক ঠিক যায় না। এ ধারণা কিন্তু ভুল! কায়দা জানলে সুতির একটি কুর্তি পরেই পুজোর ভিড়ে নজর কাড়তে পারেন আপনি। কী ভাবে সুতির কুর্তি পরেই করতে পারেন বাজিমাত, রইল তার হদিস।
১) একটা সাধারণ সুতির কুর্তিও অসাধারণ হয়ে যেতে পারে জ্যাকেটের কেরামতিতে। অনলাইন ও অফলাইনে নানা কারুকাজের জ্যাকেট পাওয়া যায়। একরঙা সুতির কুর্তির সঙ্গে মানানসই একটা জ্যাকেট পরে নিলেই আপনার পুজোর সাজ হবে সম্পূর্ণ।
২) ধুতি প্যান্টের সঙ্গেও পরে ফেলতে পারেন একটি চিকনের কাজ করা সুতির কুর্তি। খুব বেশি মেক আপ নয়। হালকা রূপটান, ছোট কালো টিপ আর অক্সিডাইজড গয়না দিয়েই সেরে ফেলুন সপ্তমীর সাজ!
৩) হালফ্যাশনে পেন্সিল প্যান্টের বেশ চাহিদা। একটু ভারী কাজ করা সুতির কুর্তির সঙ্গে একটি মানানসই রঙের পেন্সিল প্যান্ট পরে ‘স্মার্ট লুক’ তৈরি করতেই পারেন। উৎসবের দিনে এই পোশাকের সঙ্গে একটা ওড়না নিয়ে নিলেও মন্দ লাগবে না!
৪) সাজপোশাকে বদল আনতে চাইলে কুর্তির সঙ্গে পরে ফেলতে পারেন একটি স্কার্ট! স্কার্টে একটু গোল্ডেন প্রিন্ট থাকলে বেশ মানাবে। গলায় নিয়ে নিন একটি স্কার্ফ।
৫) শাড়ি পরার ক্ষেত্রেও ইদানীং বেশ বদল এসেছে। মানানসই ব্লাউজ না থাকলে একটি শর্ট সুতির কুর্তির সঙ্গেও পরে ফেলতে পারেন শাড়ি। পুজোর সাজ নিয়ে একটু পরীক্ষা করলে ক্ষতি কী?