চুলের দৈর্ঘ্য নিয়ে চিন্তায় থাকেন যাঁরা, তাঁদের জন্যও টি ট্রি অয়েল বিশেষ ভাবে কার্যকরী। ছবি- সংগৃহীত
চুল পড়া, খুশকি থেকে মাথার ত্বকের সংক্রমণ— যাবতীয় সমস্যা সমাধানে ইদানীং টি ট্রি অয়েল ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ভেষজের আদি বাসস্থান অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড আর নিউ সাউথ ওয়েলস। এই গাছের পাতার নির্যাস থেকেই টি ট্রি অয়েল পাওয়া যায়। তবে এই ভেষজের সঙ্গে চা গাছের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এই ভেষজের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ স্ক্যাল্পের নানা ধরনের সমস্যা দূর করে। চুলের গোড়ায় থাকা ফলিকল্সগুলিতে পুষ্টি জোগায়। খুশকি পরিষ্কার করে এবং মাথার শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও দূর করে। চুলের দৈর্ঘ্য নিয়ে চিন্তায় থাকেন যাঁরা, তাঁদের কাছেও এই তেল বেশ জনপ্রিয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত উপকার থাকা সত্ত্বেও এই তেল কিন্তু সরাসরি বা বেশি পরিমাণে মাথায় মাখা যায় না। চুলের সমস্যা মেটাতে গেলে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণে।
চুলের হাল ফেরাতে টি ট্রি অয়েল কী ভাবে ব্যবহার করা যায়?
১) টি ট্রি হেয়ার মাস্ক
মাথার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তা হলে টি ট্রি অয়েলের মাস্ক বিশেষ ভাবে কার্যকরী। প্রথমে একটি পাত্রে মূলতানি মাটি নিন। তার মধ্যে দিন টক দই। এ বার দশ থেকে পনেরো ফোঁটা টি ট্রি অয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকে মেখে রাখুন আধঘণ্টা। তার পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) টি ট্রি অয়েল মাসাজ
মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তার জন্য টি ট্রি অয়েল মালিশ করা জরুরি। তবে মাথায় সরাসরি এই তেল মাখা যায় না। নারকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে এই তেল মাখা যেতে পারে।
৩) টি ট্রি অয়েল শ্যাম্পু
বাজারে টি ট্রি অয়েল দেওয়া শ্যাম্পু কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে সেই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। না হলে যে কোনও শ্যাম্পুর মধ্যে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতেই পারে।
৪) টি ট্রি অয়েল স্প্রে
মাথার ত্বকে সংক্রমণ রুখতে অনেকেই টোনার ব্যবহার করেন। বাজার থেকে কেনা টোনারের পরিবর্তে বাড়িতেই টি ট্রি অয়েল দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন স্ক্যাল্প টোনার। এক কাপ জলে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। স্প্রে বোতলে ঢেলে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। চিরুনি দিয়ে চুল ভাল করে আঁচড়ে নিয়ে স্প্রে করে নিন।
৫) জলে মিশিয়ে নিতে পারেন
শ্যাম্পু করার পর একে শেষে এক মগ জলে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এ বার ওই জল দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। তার পর কিন্তু আর চুল ধোবেন না।