কনুই ও হাঁটুতে কালচে দাগের সমস্যার দাওয়াই হতে পারে ভিটামিন ই ক্যাপসুল। ছবি: শাটারস্টক।
বাজারে নানা সংস্থার ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এটি। ত্বকের বেশ কিছু সমস্যার চটজলদি সমাধান পাওয়া যায় ভিটামিন ই-র ব্যবহারে। তবে শুধু মুখের পরিচর্যাতেই ভিটামিন ই কাজে লাগে, এমন নয়। দেহের সামগ্রিক সৌন্দর্য বজায় রাখতেও ভিটামিন ই ব্যবহার করা যেতে পারে।
চুলের যত্নে: চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতে চান? তা হলে চুলের পরিচর্যায় ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল। চুলে নিয়মিত যে তেল ব্যবহার করেন, তার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে সপ্তাহে দু’দিন মাথায় মাখতে পারেন। ২-৩ ঘণ্টা রেখে তার পর মাথায় শ্যাম্পু করে নিন। চুল বাড়বে দ্রুত।
চামড়া টানটান রাখতে: অকালবার্ধক্য ঠেকাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশ কার্যকর। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ভিটামিন ই ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মুখের পাশাপাশি হাতের চামড়া ঝুলে যেতে শুরু করে। নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে মালিশ করলে ত্বক টানটান হয়।
নখের পরিচর্চায়: মুখের যত্নে আমাদের বেশ আগ্রহ থাকে। তবে হাতের যত্নে আমরা ততটাই অনীহা দেখাই। বিশেষ করে যাঁরা রান্না বা কাপড় কাচার মতো কাজ রোজ করে থাকেন, তাঁদের নখের বারোটা বাজে। একটুতেই যত্ন করে বড় করা নখ ভেঙে যেতে পারে। অনেক সময় নখের মধ্যে হলুদ দাগছোপও পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে নখ ভাল রাখতে দরকার ভিটামিন ই ক্যাপসুল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নখ এবং নখের চারপাশে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভাল করে মালিশ করে নিলে নখ থাকবে সুস্থ ও সুন্দর।
নাইটক্রিম হিসাবে: কেবল দিনেই নয়, রাতেও ত্বকের পরিচর্যার প্রয়োজন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে অনেকেই নাইটক্রিম ব্যবহার করেন। এই প্রসাধনী বেশ দামি। সাধারণ ক্রিমের মধ্যে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে দিলেই নাইটক্রিমের কাজ কাজ করবে। ত্বক আর্দ্র থাকবে। জেল্লাও বাড়বে।
কনুইয়ের কালো দাগ দূর করতে: কনুই ও হাঁটুতে কালচে দাগের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই মুশকিলেরও সমাধান হতে পারে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়েই। কয়েকটি ক্যাপসুলের তেল বার করে তার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে একটি স্ক্রাবার তৈরি করে নিন। নিয়মিত কনুই ও হাঁটুতে মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। অংশটি মোলায়েমও হবে, কালচে দাগও কমবে।