মুখে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখলে কোনও ক্ষতি হবে? ছবি: সংগৃহীত।
স্নান করার পর হাত-পায়ে এত টান ধরছে যে কিছু একটা না মাখলেই নয়। টিউবের পেট টিপে ময়েশ্চারাইজ়ার বার করতে গিয়ে হাতে অনেকটা পরিমাণে বেরিয়ে গিয়েছে। মাখার পরেও বেশ খানিকটা বেঁচে রয়েছে। অতিরিক্ত ওই প্রসাধনী সাধারণত মুখেই মেখে নেন সকলে। তা হলে আলাদা করে আর ক্রিম মাখার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু তাতে ত্বকের কোনও ক্ষতি হতে পারে কি?
রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, মুখের ত্বক দেহের তুলনায় অনেক বেশি স্পর্শকাতর এবং পাতলা। বডি লোশনের মধ্যে থাকে খনিজ তেল, শিয়া বাটার, নারকেল তেলের মতো উপাদান। কোনও কোনও বডি লোশনে কৃত্রিম সুগন্ধি, অ্যালকোহলও থাকে। এই সমস্ত উপাদান কিছু ক্ষেত্রে হাত-পা, দেহের অন্যান্য অংশের জন্য ভাল হলেও মুখের পক্ষে ক্ষতিকর। কারও মুখের ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, তা হলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া দেহ আর মুখের ত্বকের পিএইচের সমতাও আলাদা। সেই অনুযায়ী বডি লোশন আর ক্রিমের পিএইচ-ও এক হওয়ার কথা নয়। দেহের ত্বকে মুখের তুলনায় অম্লত্বের পরিমাণ কম। তাই মুখে মাখার প্রসাধনী গায়ে মাখলে যেমন কাজ হবে না, তেমন গায়ে মাখার লোশন মুখে মাখলে সমস্যাও হতে পারে।
মুখে বডি লোশন মাখলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) বডি লোশনে যে হেতু অ্যালকোহল থাকে, তাই স্পর্শকাতর মুখে তা মাখলে প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখ, নাক সংলগ্ন অঞ্চল লাল হয়ে যেতে পারে।
২) মুখে বডি লোশন মাখলে ব্রণের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিতে পারে। যে হেতু এই প্রসাধনীতে খনিজ তেল, ফ্যাটি উপাদানের পরিমাণ বেশি। তাই তা সহজে মুখের ছোট ছোট ছিদ্র বা পোর্স বন্ধ করে দেয়।
৩) খুব বেশি ঘনত্ব-যুক্ত প্রসাধনী মাখলে মুখে জ্বালা বা পিন ফোটার মতো অস্বস্তি হতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এই অভ্যাস আরও ক্ষতিকর।