পুজোর আগে কিয়ারা আডবাণীর মতো স্বচ্ছ ত্বক পান। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা আসবেই। ব্যস্ত জীবনে নিয়মিত চর্চা করার সময়ও পাওয়া যায় না। তাই বলে পুজোর সময়ে মনমরা হয়ে বসে থাকা যাবে না। দিন কয়েক আগে থেকেই সালোঁয় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন অনেকে। তবে কোরিয়ানদের মতো স্বচ্ছ ত্বক পাওয়া তো মুখের কথা নয়। সালোঁয় গিয়ে এক দিন ফেশিয়াল করলেই সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না। তবে ত্বকের সমস্যা বুঝে যদি কয়েকটি সিরাম ব্যবহার করা যায়, তবে পুজোর আগেই ত্বকের জেল্লা ফিরবে এমনটা আশা করা যেতেই পারে।
১) হায়ালুরোনিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম
শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে অব্যর্থ এই সিরাম। তৈলাক্ত ত্বকে সেবাম ক্ষরণের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে। ত্বকে মসৃণ ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই অ্যাসিড।
২) ভিটামিন সি সিরাম
ত্বকের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে নির্ভরযোগ্য হাতিয়ার হল ভিটামিন সি। তা সে ফলের রসেই হোক বা সিরামে— ত্বকে ব্যবহার করলে জেল্লা ফিরবেই। তা ছাড়াও ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করতেও সাহায্য করে এই সিরাম।
৩) নায়াসিনামাইড সিরাম
তৈলাক্ত ত্বকের মূল সমস্যা হল ব্রণ। এই ব্রণ নিয়ন্ত্রণে অব্যর্থ হল নায়াসিনামাইড সিরাম। তবে শুধু ব্রণ নয়, ব্রণ সেরে যাওয়ার পর ত্বকে হওয়া ওপেন পোর্সের সমস্যা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে নায়াসিনামাইড সিরাম।
৪) গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম
ত্বকে ব্ল্যাকহেড্স বা হোয়াইটহেড্সের সমস্যা থাকলে, চোখ বন্ধ করে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করা যেতে পারে। সঙ্গে ত্বকে যদি সদ্য বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে তা-ও রুখে দিতে পারে এই সিরাম।
৫) পেপটাইডযুক্ত সিরাম
ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে গেলে প্রয়োজন কোলাজেন। এই কোলাজেন হল ত্বকের প্রোটিন। বয়স বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা কমতে থাকে। বাইরে থেকে কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করতে পারে পেপটাইড দেওয়া সিরাম।