(বাঁ দিকে) শুভশ্রী গাঙ্গুলি, বিদ্য়া বালান (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
বিষ্ণুপুরী হোক কিংবা মুর্শিদাবাদী, মাহেশ্বরী হোক কিংবা বেঙ্গালুরু— সিল্কের শাড়ির প্রতি মহিলাদের আলাদাই অনুভূতি থাকে। নানা ধরনের শাড়ির পাশাপাশি কয়েকটি সিল্ক অনেকেরই আলমারিতে আলো করে থাকে। পুজো হোক কিংবা বাড়ির বিয়ে আলমারি খুলে প্রথমে সিল্কের দিকেই হাত চলে যায়। তবে শুধু পরলেই তো চলবে না, শখ করে কেনা সিল্কের শাড়িটির যত্নও তো নিতে হবে। সঠিক যত্নেই দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে সিল্ক। কেমন হবে সিল্কের শাড়ির যত্ন?
১) সিল্ক শা়ড়ি ভাঁজ করতে সঠিক ভাবে। ইচ্ছেমতো ভাঁজ করে আলমারিতে তুলে রাখলেই কিন্তু হবে না। ভুল ভাঁজের কারণে শাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সিল্কের শাড়ি আলমারিতে কখনও ঝুলিয়ে রাখবেন না। বিশেষ করে যেগুলিতে জরির কাজ করা, সেগুলি ঝুলিয়ে রাখা ঠিক নয়। বরং ঠিক করে মাপে মাপে ভাঁজ করে রাখুন। তবে যে শাড়িতে জরি থাকে তা ভাঁজ করার সময় সেগুলি যেন ভিতরের দিকে থাকে। মাসে এক বার আলমারির অন্ধকার থেকে শাড়ি বার করে ভাঁজ খুলে রোদে দিতে হবে। তবেই ভাল থাকবে শাড়ি।
২) সিল্কের শা়ড়ি সব সময়ে ড্রাইওয়াশ করাতে হবে। তবে বাড়িতে ধুতে হলে মেশিনের চেয়ে সিল্কের শা়ড়ি হাতে ধুয়ে নেওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে ডিটারজেন্টের বদলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। সিল্কের শাড়ির ধোয়ার সময় গরমজল ব্যবহার করবেন না এবং শাড়ির উপর ব্রাশ দিয়ে ঘষবেন না। এতে রং খারাপ হয়ে যেতে পারে। শাড়ি শুকোনোর সময় কড়া রোদে দেবেন না।
৩) সিল্ক পরে অনুষ্ঠান বাড়ি গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরেই শাড়ি ছাড়ার পর সঙ্গে সঙ্গে আলমারিতে তুলে রাখবেন না। শাড়ি ছেড়ে কিছু ক্ষণ হাওয়ায় মেলে রাখুন। তার পর ইস্ত্রি করে আলমারিতে তুলুন।
৪) সিল্ক শাড়ির রং ধরে রাখা সহজ নয়। তবে একটি ঘরোয়া টোটকা মেনে চললে শাড়ির রং হবে অটুট। অনেকেই ড্রাই ওয়াশ করতে দেওয়ার বদলে বাড়িতেই সিল্ক কাচেন। সে ক্ষেত্রে এক বালতি জল নিয়ে তাতে ভিনিগার মেশান। শাড়িটি বালতিতে ডুবিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। ৩-৫ মিনিট পর বালতি থেকে শাড়িটি তুলে এক বার ধুয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন। ভিনিগার শাড়ির রং ধরে রাখে।