পেয়ারা খেলে ত্বক ভাল থাকবে। ছবি: সংগৃহীত।
পেয়ারা খেতে মন্দ লাগে না। নিয়মিত খেলে চুলও ভাল থাকে। পুষ্টিগুণের দিক থেকেও পেয়ারা অনেক ফলকে টেক্কা দিতে পারে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চুলের পাশাপাশি পেয়ারা ত্বকের জন্যও ভাল। নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই ফলটি নিয়মিত খেলে ত্বকের এমন অনেক সমস্যাই ঠেকিয়ে রাখা যায়।
পেয়ারায় কী কী রয়েছে?
আমেরিকার কৃষি দফতর অনুযায়ী, পেয়ারায় ৮০.৮ গ্রাম জল, ২.৫৫ গ্রাম প্রোটিন, ১৪.৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫.৪ গ্রাম ফাইবার, ১৮ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম, ২২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম, ২২৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১.০৮ মিলিগ্রাম নিয়াসিন (ভিটামিন বি৩), ০.১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬ এবং ৫২০০ মাইক্রোগ্রাম লাইকোপেন রয়েছে।
নিয়মিত পেয়ারা খেলে কী উপকার হবে?
১) পেয়ারা হল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের খনি। এই উপাদানটি শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে সহজে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না।
২) ত্বক স্বাভাবিক ভাবে উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে পেয়ারা। কালচে দাগছোপ দূর করে। নিয়মিত এই ফলটি খেলে ত্বকের মসৃণভাবও বজায় রাখে।
৩) পেয়ারার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। ফলে র্যাশ বা ব্রণের সমস্যা নিরাময় করতে পারে ফলটি। ত্বকে সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রেও পেয়ারার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
৪) পেয়ারায় জলের ভাগ বেশি। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে এই ফলটি। ফলে চামড়া সহজে ঝুলে যায় না। ত্বকের ‘ইলাস্টিসিটি’ বা টান টান ভাবও বজায় থাকে।
৫) পেয়ারা ভিটামিন সি-এর উৎস। এই ভিটামিনটি ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের ‘টেক্সচার’ অর্থাৎ ধরণ বদলে দিতে পারে পেয়ারা।