কাজ সেরে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় শ্রীরামপুর স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। —ফাইল চিত্র।
পরিকাঠামোগত কাজের জন্য পূর্ব রেলের হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, কোনও ট্রেনই কার্যত নির্ধারিত সময়ে চলছে না। এই অবস্থায় বিশেষত, ‘অফিস টাইমে’ চিঁড়েচ্যাপ্টা হওয়ার জোগাড় হচ্ছে তাঁদের। বয়স্ক, শিশু এবং মহিলাদের ট্রেনে ওঠার উপায় থাকছে না। বাদুড়ঝোলা অবস্থায় বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
নিত্যযাত্রীদের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু বিশেষ ট্রেন (প্যাসেঞ্জার্স স্পেশাল) চালানো হচ্ছে। কিন্তু তারও সময়ের কোনও বালাই নেই। ‘অফিস টাইমে’ নির্ধারিত সময়ের দীর্ঘক্ষণ বাদে ট্রেন এলে ওঠার উপায় থাকছে না। ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি হচ্ছে। মহিলাদের অভিযোগ, মহিলা স্পেশাল ট্রেন বাতিল থাকায় সমস্যা বেড়েছে।
পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষকে একাধিক চিঠি দিয়েছে নাগরিক সংগঠন ‘অল বেঙ্গল সিটিজেন্স ফোরাম’। তাদের দাবি, ‘অফিস টাইমে’ বাতিল করা চার জোড়া হাওড়া-শেওড়াফুলি লোকাল চালানো হোক। সংগঠনের সভাপতি শৈলেন পর্বত বলেন, ‘‘আমরা জানি হাওড়া ও লিলুয়ার মধ্যে ওভারব্রিজ তৈরির জন্য অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু এ জন্য যে পরিস্থিতি হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে কার্যত নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। গত ২১ ডিসেম্বর থেকে এই পরিস্থিতি চলছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই পরিস্থিতি থেকে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা রেলকেই করতে হবে। ইতিমধ্যেই ডিআরএম এবং জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি, রেল যাত্রীদের সমস্যা বুঝবে।’’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘যাত্রীদের সুবিধার্থেই আগামী দিনে আরও ভাল পরিষেবা দিতে উন্নয়নের পদক্ষেপ করা হয়েছে। সাময়িক সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, তবে আগামী দিনে যাত্রীরা আরও উন্নত রেল পরিষেবা পাবেন।’’
বহু যাত্রীর ক্ষোভ, দুর্ভোগ এ বারে বড় আকার নিলেও আগেও নানা কারণে মেন লাইনে ট্রেন ধরতে তাঁদের ভুগতে হয়েছে। বহু ট্রেনই সময়ে চলেনি। প্রতিবারই সুষ্ঠু পরিষেবার কথা বলে রেল। কিন্তু দুর্ভোগ পিছু ছাড়ে না।
তথ্য সহায়তা: কেদারনাথ ঘোষ।