ত্বকের কিয়ারা, আলিয়ার মতো জেল্লা পেতে কী কী খাবার রাখতেই হবে ডায়েটে? ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ শরীরের পাশাপাশি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকও সকলে চান। ত্বক ভাল রাখতে অনেকেই ভরসা রাখেন বাজারচলতি কিছু প্রসাধনীর উপর। কিন্তু সমস্যার সমাধান সব সময়ে লুকিয়ে থাকে সমস্যার মূলেই। মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, বাইরের ধুলোবালি, দূষণ, গরম— সব মিলিয়ে ত্বক ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। মরসুম বদলের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, বলিরেখা পড়তে শুরু করে। বাইরে থেকে ত্বকের পরিচর্যার পাশাপাশি, ত্বক ভিতর থেকেও ভাল রাখতে চাইলে রোজকার খাদ্যাভ্যাসে আনতে হবে বদল। জেনে নিন, ত্বকের আর্দ্রতা ও জেল্লা বজায় রাখতে কী কী খাবার রাখতেই হবে ডায়েটে?
টোম্যাটো: টোম্যাটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানও করে। ত্বক পরিচর্যায় টোম্যাটোও হয়ে উঠতে পারে অন্যতম উপাদান। ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে টোম্যাটো মাখলেই হবে না, খেতেও হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, টোম্যাটোয় থাকে লাইসোপিন নামে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে কাঁচা নয়, রান্না করা টোম্যাটো বেশি উপকারী ত্বকের জন্য।
বাদাম: বাদামে থাকা বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে কোলাজেন ভীষণ জরুরি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদনের হার কমে যায়, তখনই ত্বক নিস্তেজ দেখায়। তাই নিয়ম করে ডায়েটে বাদাম রাখলে ত্বক জেল্লাদার হবে।
ঘি: ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ঘি অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখুন। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং জেল্লা বৃদ্ধিতে ঘি ভীষণ উপকারী। এ ক্ষেত্রে রান্নায় বেশি ঘি ব্যবহার না করলে দুধে ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন।
শসা: শসায় ৯৫ শতাংশেরও বেশি জল থাকে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য রোজ শসা খেতেই হবে। শসায় অনেক জৈব সক্রিয় যৌগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কিউকারবিটাসিন, ভিটেক্সিন, ওরিয়েন্টিন এবং এপিজেনিন।এগুলি ত্বককে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে।
আনারস: ক্লান্ত ত্বককে চনমনে করতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। আনারসের মধ্যে থাকা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা এএইচএ-কে ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রসাধনী সংস্থাও। তবে কেবল মাখলেই নয়, নিয়ম করে আনারস খেলেও কিন্তু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়।