আসল কাঞ্জিভরম সিল্কের রং উজ্জ্বল হয়। ছবি- সংগৃহীত
পুজোর কেনাকাটা প্রায় শেষের পথে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্ব! সবই কেনা হল তবে একটা সিল্কের শাড়ি কেনার জন্য মনটা কেমন খুঁতখুত করছে! ভাবছেন একটি সিল্ক না কিনলেই নয়! তবে বাজারে নকল সিল্কের রমরমার মধ্যে ঠকে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন? আসল সিল্ক চেনার কয়েকটি ফন্দি জানলেই আর ঠকার ভয় থাকবে না। জেনে নিন কী ভাবে শাড়ি দেখে যাচাই করবেন সিল্ক আসল কি না।
কাঞ্জিভরম: আসল কাঞ্জিভরম সিল্কের রং উজ্জ্বল হয়। কাঞ্জিভরম শা়ড়ি কেনার সময় দেখে নিন জড়িতে লাল সুতো রয়েছে কি না। লাল ও রুপোলি সুতোর বাঁধনকে সোনালি রঙে ডুবিয়ে কাঞ্জিভরমের জড়ি তৈরি হয়। তাই শাড়ি উল্টো করে দেখে নিন জড়িতে লালচে আভা আছে কিনা।
বেনারসি: হাতে বোনা বেনারসি শাড়ির কদর বিশ্ব জুড়ে। আসল বেনারসি শাড়ির আঁচলে ৬-৮ ইঞ্চি লম্বা সিল্কের প্যাঁচ থাকবে। শাড়ির মোটিফ দেখেও চিনে নেওয়া যায় আসল বেনারসি শাড়ি। মুঘল প্যাটার্নের আমরু, অম্বি, ডোমক মোটিফ থাকে আসল বেনারসি শাড়িতে। তাই বেনারসি শাড়ি কিনতে গেলে এই প্রকার মোটিফ দেখেই কেনা শ্রেয়।
চান্দেরি: চান্দেরি সিল্কের বুনন অন্যান্য সিল্কের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। খসখসে ধরনের হয়। শাড়ির উপর হাত বোলালে যদি বরফে হাঁটার মতো আওয়াজ হয়, তা হলে বুঝবেন তা আসল সিল্ক। সিল্ক মানেই মোলায়েম হবে এই কথাটা চান্দেরি শাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।সিল্ক শাড়ি কেনার সময়ে দোকানদারের কাছ থেকে রাজ্য সরকারের সিল্ক মার্ক সার্টিফিকেট চাইতে ভুলবেন না। সিল্ক আসল হলে বিক্রেতারা সেই সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য।