বেশি গরম জলে স্নান করলে ত্বক ও চুলের কী কী ক্ষতি হতে পারে? ছবি: ফ্রিপিক।
শীত পড়ল কি পড়ল না, গিজ়ার চালিয়ে প্রচণ্ড গরম জলে স্নান করতে শুরু করেন অনেকেই। ঠান্ডার সময়ে গরম জলে স্নান করলে আরাম লাগে তা ঠিক। তবে অতিরিক্ত গরম জল যেমন ত্বকের ক্ষতি করে, তেমনই চুলেরও। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে চুল যেমন রুক্ষ হয়ে যায়, তেমনই খুশকির সমস্যাও বাড়তে পারে। শীতের সময়ে এমনিতেও মাথার ত্বক শুকিয়ে গিয়ে চুলকানি, র্যাশ হয় অনেকের। চুলের ডগা ফাটার সমস্যাও দেখা দেয়। এ সবের কারণ অতিরিক্ত গরম জল নয় তো?
ফুটন্ত গরম জলে স্নান করলে ত্বকের নিজস্ব সেবাম নষ্ট হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। ত্বকে দাগছোপ বা পিগমেন্টেশনের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে। বেশি গরম জলে স্নান করলে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়লে খুশকির উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে।
খুশকি সাধারণত কিছু ব্যাক্টেরিয়ার কারণে হয়। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও খসখসে হয়ে গেলে সেখানে ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। আর প্রতি দিন অতিরিক্ত গরম জল মাথায় ঢাললে মাথার ত্বক দ্রুত শুকিয়ে যেতে থাকে। তখন সেখানে ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। স্ট্যাফাইলোক্কাস ক্যাপটিস নামক ব্যাক্টেরিয়া মাথার ত্বকে বেশি জন্মায়। এই ব্যাক্টেরিয়ার কারণেই খুশকির সমস্যা বাড়ে। ম্যালাসেজ়িয়া গ্লোবোসা নামে ইস্টের মতো এক ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণেও খুশকির প্রকোপ বাড়ে। এই ছত্রাক মাথার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব শুষে নেয়। তখন খুশকির সমস্যা দেখা দিতে থাকে। এই ছত্রাকের কারণে মাথার ত্বকে চুলকানি, অস্বস্তিও হয় অনেকের। চুলের গোড়া নরম হয়ে গিয়ে চুল পড়ার সমস্যাও বাড়ে।
তাই বেশি গরম জল নয়, উষ্ণ জলেই স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করতেই হবে। খাবার সোডা এবং দই, দু’টিই খুশকি দূর করার সহজতম ঘরোয়া উপায়। দই, এক চিমটে খাবার সোডা ও পুদিনা পাতার কুচি দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তার পর মাথার ত্বকে ভাল করে মাখিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ পরে শ্যাম্পু করে উষ্ণ জলে চুল ধুয়ে নিন। খুশকির সমস্যা বাড়লে টি-ট্রি অয়েলও লাগাতে পারেন। তাতেও উপকার হতে পারে।