ঠোঁটের জন্য আলাদা সানস্ক্রিন প্রয়োজন? ছবি: সংগৃহীত।
সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে মুখের সানস্ক্রিন মাখেন। তবে, শুধু রোদের জন্যই নয়। ত্বকের বয়সজনিত সমস্যা, এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে এই প্রসাধনীটি। ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা একবাক্যে স্বীকার করেছেন ত্বকের চিকিৎসক থেকে রূপটানশিল্পী, সকলেই। কিন্তু শরীরের অন্যান্য অনাবৃত অংশে যেমন যত্ন নিয়ে সানস্ক্রিন মাখেন, ঠোঁটের ক্ষেত্রে তেমনটা ভাবেন কি?
মুখ, হাত, গলা, ঘাড়, পায়ের পাতার মতো ঠোঁটেও কিন্তু রোদ লেগে ‘ট্যান’ পড়ে। ফাটা ঠোঁট, শুষ্ক ঠোঁট কিংবা অনুজ্জ্বল ঠোঁটে সাধারণ লিপ বাম মাখলে কাজ চলে যায়। কিন্তু যাঁদের ঠোঁটে কালচে দাগছোপ রয়েছে, তাঁদের জন্য এই প্রসাধনীটি যথেষ্ট নয়। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ত্বকের অন্যান্য অংশের চেয়ে স্পর্শকাতর হল ঠোঁট। শরীরে জলের অভাব থাকলে, তা ঠোঁট দেখলে সহজেই বোঝা যায়। ফাটা, ছাল ওঠা ঠোঁটের জন্য আবহাওয়া অনেকাংশে দায়ী। পর্যাপ্ত জল না খেলেও ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এ ছাড়া আরও একটি কারণে ঠোঁট ফাটতে পারে। সেটি হল, ‘সান ড্যামেজ’ বা সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ক্ষতি।
দেহের অন্যান্য অংশের চেয়ে ঠোঁট আলাদা। বাইরে থেকে আলাদা করে তার যত্ন নিতে হয়। কারণ, ঠোঁটে কোনও তৈলগ্রন্থি নেই। তাই নিজে থেকে ঠোঁট আর্দ্রতা ধরে রাখতে বা পেলবতা রক্ষা করতে পারে না। তাই অন্যান্য অংশের চেয়েও ঠোঁট তাড়াতাড়ি রুক্ষ বা শুষ্ক হয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি। কিছু আগে পর্যন্ত ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি ছাড়া আলাদা করে কিছু মাখার কথা হয়তো কেউই ভাবতেন না। কিন্তু রোদের তেজ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঠোঁটের ক্ষতিও। শুধু শীতকালীন ঠোঁট ফাটা নয়, সারা বছর জুড়ে চলছে এই সমস্যা। প্রয়োজন পড়ছে ত্বকের ধরন অনুযায়ী বিশেষ ভাবে তৈরি লিপ বাম কেনার।
অনেকেরই ধারণা, উপর থেকে পুরু করে লিপস্টিক মাখলে হয়তো এই ধরনের ক্ষতির হাত থেকে ঠোঁট রক্ষা পাবে। এমন ধারণা ত্বকের চিকিৎসকদের কাছে কিন্তু খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁদের মত, লিপস্টিক থেকেও ঠোঁটে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তাই সান প্রোটেকশন ফর্মুলা (এসপিএফ) যুক্ত লিপ বামই ভরসা। তবে, তা এক বার মেখে নিলেই হবে না। বাইরে থাকলে মুখে মাখার মতোই ঘণ্টা দুয়েক অন্তর ঠোঁটে লিপ বাম ঘষতে হবে। তবেই, কালচে দাগছোপ দূর হয়ে ঠোঁটের লালচে, গোলাপি রং ফিরে আসবে। নানা ধরনের সুগন্ধি দেওয়া ‘এসপিএফ’ যুক্ত লিপ বাম বাজারে পাওয়া যায়। ‘সেবামেড’, ‘নিভিয়া’, ‘নিউট্রোজেনা’, ‘হিমালয়া’, ‘ডট অ্যান্ড কি’, ‘মিনিমালিস্ট’-এর মতো সংস্থার লিপ বাম কিনতে পারেন। দাম ২০০ টাকা থেকে শুরু। আবার, ‘বডিশপ’, ‘ববি ব্রাউন’, ‘ক্লিনিক’, ‘লিনিয়েজ’-এর মতো নামী সংস্থার জিনিস কিনতে হলে ১০০০টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত বাজেট রাখতে হবে।