তরমুজ দিয়ে বানাতে পারেন নানা পদ। ছবি: সংগৃহীত।
অসহনীয় গরমে এক টুকরো তরমুজ মুখে দিলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। পরম তৃপ্তি আর স্বস্তিতে ভরে ওঠে মন। তরমুজে জলের ভাগ যেহেতু বেশি, তাই একটা আলাদা আরাম পাওয়া যায় খেলে। হাঁসফাঁস করা গরমে বাঙালির ফ্রিজেও তাই জায়গা করে নিয়েছে তরমুজ। হঠাৎ করে বাড়িতে কেউ এসে পড়লে, তরমুজের শরবত বানিয়ে দিলে খুশি হবেন অতিথি। তবে শরবত ছা়ড়াও, তরমুজ দিয়ে বানাতে পারেন কিছু বাহারি খাবার।
তরমুজ ঠান্ডাই
একটি মিক্সারে তরমুজের টুকরো, পাতিলেবুর রস এবং বরফ একসঙ্গে দিয়ে ঘুরিয়ে নিলেই তৈরি তরমুজের ঠান্ডাই। গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করার আগে উপর থেকে পুদিনা পাতা ছড়িয়ে দিতে পারেন। দেখতে ভাল লাগবে।
তরমুজ কুলফি
প্রথমে তরমুজ কুচিগুলি একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে ঘেঁটে নিন। একই পদ্ধতিতে শসা কুচিও ব্লেন্ডারে দিন। দু’টি ফলই থকথকে হয়ে থাকবে। তখন একটি পাত্রে তরমুজ, শসা, নুন, চাট মশলা, চিনি আর লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। গোটা জিনিসটি আবার ব্লেন্ডারে একটু ঘেঁটে নিন। তার পর কুলফি বানানোর ছাঁচে মিশ্রণটি দিন। ছাঁচের মুখ বন্ধ করে ফ্রিজে জমতে দিন কুলফি। কুলফি জমতে কয়েক ঘণ্টা লাগবে। ঘণ্টা তিনেক পর ফ্রিজ খুলে ছাঁচ থেকে বার করে নিন এক একটি কুলফি। ফ্রেশ ক্রিম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
তরমুজ মার্টিনি
একটা পাত্রে নুন চিনি মিশিয়ে সেটা একটা প্লেটে ঢালুন। একটা মার্টিনি গ্লাস নিয়ে সেটার মুখটা তরমুজের টুকরো ঘষে ভিজিয়ে নিন। এবার সেটা প্লেটের উপর রাখুন, যাতে গ্লাসের মুখে নুন-চিনির স্তর লেগে যায়। একটা ককটেল শেকারে বরফ কুচি নিন। তার উপর বাকি উপকরণ ঢেলে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। শেকারের বাইরেটা ভিজে ভিজে হয়ে এলে মিশ্রণটা ছাকনি দিয়ে ছেকে গ্লাসে ঢালুন। এক টুকরো তরমুজে গ্লাসের উপর দিয়ে পরিবেশন করুন।