নববর্ষের উৎসবে চাই ত্বকের বাড়তি জেল্লা। ছবি: সংগৃহীত।
এক দিন পরেই পয়লা বৈশাখ। নববর্ষে অনেকেরই নানা পরিকল্পনা থাকে। এই দিনে বাড়িতে অতিথির আনাগোনা হয়। সেই সঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, দেদার আড্ডা আর হইহুল্লোড় তো আছেই। তবে উৎসবের মধ্যমণি হতে চাইলে সাজগোজেও চাই নতুনত্বের ছোঁয়া। শুধু পাটভাঙা নতুন শাড়িতে সাজলেই হবে না, তার সঙ্গে ত্বকেরও চাই আলাদা জেল্লা। হাতে সময় নেই বললেই চলে। নববর্ষ উদ্যাপনে মেতে ওঠার আগে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া কয়েকটি প্যাকের উপর।
কাঠবাদামের প্যাক
কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন ই ও অন্যান্য উপাদান ত্বককে নরম ও তরতাজা করে। শুধু ৭-৮টি কাঠবাদাম ও ২ টেবিল চামচ দুধ লাগবে। সারা রাত কাঠবাদামগুলি জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে বেটে নিন। এ বার তার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
শসার প্যাক
শসায় যেহেতু প্রায় ৯৫ শতাংশই জল রয়েছে, তাই এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে ও ত্বক উজ্জ্বল করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে আধখানা শসা, আধ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ো লাগবে। শসা ভাল করে থেঁতো করে নিয়ে তাতে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে আসবে দারুণ জেল্লা।
পেঁপের প্যাক
পেঁপেতে থাকা প্যাপাইন নিষ্প্রাণ ও মলিন ভাব তাড়াতাড়ি দূর করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল। তাই চটজলদি ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে পেঁপে ব্যবহার করুন। এর জন্য লাগবে আধ বাটি পেঁপে, আধ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ো, গোলাপ জল ও আধ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল। পেঁপে ভাল করে থেঁতো করে নিয়ে তার সঙ্গে চন্দনের গুঁড়ো, গোলাপ জল, অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।