পুজোর আগে ভরসা রাখা যেতে পারে ‘আইস থেরাপি’তে। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে রূপচর্চা হল একটা বড় বিষয়। পার্লারগুলিতে ভিড় দেখে তা খানিকটা আঁচ করা যাচ্ছে। কিন্তু এই ভিড় দেখেই পার্লারের চৌকাঠ পেরোতে ভয় পাচ্ছেন অনেকে। পার্লারে গেলে চটজলদি যে জেল্লা পাওয়া যেত ত্বকে, ঘরোয়া টোটকায় তা পাওয়া যাবে কি না, অনেকেই চিন্তিত থাকেন তা নিয়ে। তবে রূপচর্চার ক্ষেত্রে যদি পুরোপুরি ভরসা রাখেন বরফের উপর, তা হলে আর চিন্তা করার দরকার হবে না। রূপচর্চায় বরফ ব্যবহার করা নতুন কিছু নয়। বলিপাড়ার অনেক নায়িকা ত্বকের যত্নে বরফ ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন। পুজোর আগেও তাই ভরসা রাখা যেতে পারে ‘আইস থেরাপি’তে। এর ফলে কী কী সুফল পাবেন, জানেন?
১) বরফ দিলে সহজেই চোখের ফোলা ভাব কমে। এ কথা অনেকে জানেন। কিন্তু মুখের অন্য কোনও ফোলা ভাবও অল্প সময়ে কমিয়ে দিতে পারে বরফ। ফলে মেকআপ করার আগে মুখে কিছুটা বরফ লাগিয়ে নিলে কাজ হতে পারে। চেহারা অনেকটাই মসৃণ হয় কয়েক মুহূর্তে।
২) অনেক সময়ে চেহারায় তেমন ঔজ্জ্বল্য থাকে না। কখনও চোখ-মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে যায়। তা থেকে মুক্তি দিতে পারে বরফ। মিনিট খানেক ভাল ভাবে মুখে বরফ ঘষলে ফিরে আসবে জেল্লা।
৩) ত্বকের প্রদাহও কমে বরফ দিলে। বাইরে থেকে ফেরার পর অনেক সময় ত্বক জ্বালা করে। সেই সময় অন্য কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করার বদলে বরফ ঘষে নিতে পারেন। তাতে ত্বকের জ্বালা ভাবও কমবে। ত্বকে জেল্লাও ধরা থাকবে।
ত্বকের জন্য বরফ অত্যন্ত উপকারী। তবে ত্বকে ব্যবহার করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) কোনও মতেই বেশি ক্ষণ এক জায়গায় বরফ চেপে ধরে রাখা ঠিক নয়। বরফ দেওয়া মানেই তা ঘষতে হবে। না হলে চামড়ায় বরফের দাগ পড়ে যেতে পারে। ঝুঁকি এড়াতে সারা মুখে হালকা হাতে বরফ ঘষতে থাকুন।
২) বরফ সরাসরি ত্বকে দেওয়া ঠিক নয়। তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। তার চেয়ে বরফের টুকরোটি কোনও একটি পাতলা সুতির কাপড়ে মুড়ে ত্বকে ঘষতে থাকুন। বেশি সুফল পাবেন।
৩) বরফ দেওয়ার পরে অনেকের মুখেই লাল ভাব দেখা দেয়। কারও কারও ক্ষেত্রে তা বেশি ক্ষণ থেকে যায়। এমন হওয়ার প্রবণতা থাকলে খুব অল্প সময়ের জন্য বরফ ব্যবহার করতে হবে। অথবা মুখে কোনও পাতলা ফেস প্যাক লাগিয়ে তার উপর দিয়ে বরফ লাগাতে হবে।