চটজলদি চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারে ড্রাই শ্যাম্পু। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি দিনই ভাবেন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবেন। ঘড়িতে অ্যালার্ম তো দেওয়া থাকে। কিন্তু কিছুতেই লেপের তলা থেকে বেরোতে ইচ্ছে করে না। রোজই দেরি হয়ে যায়। হয় স্নান, নয় খাওয়া বাদ দিতে হয়। শীতে অবশ্য স্নানেই কাঁচি পড়ে। কিন্তু চুলের কায়দা কম হলে তো চলে না। তাই চোখ বন্ধ করে ‘ড্রাই শ্যাম্পু’ স্প্রে করে নেন। তেলতেলে চুলকে চটজলদি রেশমের মতো করতে, ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারে ড্রাই শ্যাম্পু। তবে এই ধরনের প্রসাধনীতে রাসায়নিক উপাদান বেশি থাকে। তাই মাথার ত্বকের ক্ষতি কিন্তু আটকানো যায় না।
ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা কী?
১) হাতে সময় কম থাকলে জল দিয়ে চুল ভিজিয়ে স্নান করে শ্যাম্পু করার উপায় থাকে না। এ ক্ষেত্রে ড্রাই শ্যাম্পু সময় বাঁচায়।
২) ড্রাই শ্যাম্পু যখন ইচ্ছে ব্যবহার করা যায়। শীতের জায়গায় ঘুরতে গেলেও অসুবিধা নেই। রেশমের মতো ফুরফুরে চুলেই ছবি তুলতে পারবেন।
৩) এমনি শ্যাম্পুতে চুলের রং নষ্ট হয়। ড্রাই শ্যাম্পু করলে সেই সম্ভাবনা থাকে না।
ড্রাই শ্যাম্পুর ক্ষতিকর দিকগুলি কী কী?
১) শীতকালে এমনিতেই খুশকির বাড়বাড়ন্ত হয়। তার উপর যদি রোজ ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, তা হলে তো কথাই নেই। মাথার ত্বকে ড্রাই শ্যাম্পু জমে সেখান থেকেও খুশকি হতে পারে।
২) ড্রাই শ্যাম্পুর মধ্যে যে ধরনের রাসায়নিক থাকে, তা মাথার ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে দিতে পারে। তাই জল দিয়ে ভাল করে না ধুলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
৩) মাথার ত্বকে ড্রাই শ্যাম্পুর রাসায়নিক জমতে থাকলে তা থেকে চুলের গোড়ায় সংক্রমণ হতে পারে। যা থেকে পরবর্তী সময়ে চুল পড়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।