বাড়িতেই বানান চ্যবনপ্রাশ। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের সময়ে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। বাচ্চা থেকে বয়স্ক, সকলেই অ্যালার্জি জনিত সমস্যায় ভোগেন। তার পর আবার যে ভাবে করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তার সঙ্গে লড়াই করতে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা ছাড়া অন্য উপায় নেই। বহু কাল ধরেই ঘরোয়া টোটকা হিসেবে চ্যবনপ্রাশ খাওয়ার চল রয়েছে। বাজারে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক সংস্থার চ্যবনপ্রাশ কিনতে পাওয়া যায়। তবে বেশির ভাগের মধ্যেই চিনি দেওয়া থাকে। ফলে যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁরা সেই চ্যবনপ্রাশ খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে একেবারে প্রাকৃতিক কয়েকটি উপাদান দিয়ে বাড়িতেই কিন্তু চ্যবনপ্রাশ তৈরি করে ফেলা যায়। রইল প্রণালী।
উপকরণ
আমলকি: ৫০০ গ্রাম
ছোট এলাচ: ৪ থেকে ৫টি
বড় এলাচ: ১টি
লবঙ্গ: ৮ থেকে ১০টি
স্টার আনিস: ১টি
তেজপাতা: ৪ থেকে ৫টি
গোলমরিচ: ১০ থেকে ১৫টি
দারচিনি: ১ টেবিল চামচ
জলে ভেজানো কিশমিশ: আধ কাপ
তুলসী পাতা: এক কাপ
খেজুর: ১৫টি
আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
ঘি: ৩ টেবিল চামচ
গুড়: এক কাপ
কেশর: ১০ থেকে ১৫টি সুতো
পদ্ধতি
১) প্রথমে আমলকি ভাল করে ধুয়ে, কেটে সেদ্ধ করে নিন।
২) এ বার শুকনো কড়াইতে দারচিনি, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, লবঙ্গ, স্টার আনিস, গোলমরিচ, তেজপাতা মিনিট পাঁচেক ভেজে নিন। একটু ঠান্ডা হলে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন।
৩) এ্র পর কিশমিশ, খেজুর, আদা এবং তুলসী পাতা এক সঙ্গে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
৪) সেদ্ধ করে রাখা আমলকি থেকে বীজ ছাড়িয়ে নিন। হাত দিয়ে ভাল করে চটকে নিতে পারেন। আবার মিক্সিতে বেটেও নিতে পারেন।
৫) এ বার লোহার কড়াইতে ঘি গরম করতে দিন। গ্যাসের আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখবেন।
৬) গরম হয়ে গেলে বেটে রাখা আমলকি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চার থেকে পাঁচ মিনিট মতো রান্না করুন। তার পর দিয়ে দিন গুড়।
৭) গুড় ভাল করে মিশে গেলে প্রথমে বেটে রাখা কিশমিশ এবং খেজুরের পেস্ট দিয়ে দিন।
৮) নাড়তে নাড়তে মিশ্রণ থেকে জল শুকিয়ে এলে এবং চ্যবনপ্রাশের রং খানিকটা কালচে হয়ে এলে এ বার ভেজে রাখা গুঁড়ো মশলা এবং কেশর দিয়ে দিন।
৯) পরিষ্কার, বায়ুরোধী কাচের শিশিতে এই চ্যবনপ্রাশ রেখে দিতে পারেন মাসছয়েক।