Botox

‘বোটক্স’ করানোর কথা ভাবছেন? তার আগে এই পদ্ধতি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা ভেঙে ফেলুন

বন্ধুরা অনেকেই বোটক্স করে ফল পেয়েছেন। কিন্তু আপনার মনের ভয় কিছুতেই কাটতে চাইছে না এই পদ্ধতি নিয়ে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:১৮
‘বোটক্স’ কতটা নিরাপদ?

‘বোটক্স’ কতটা নিরাপদ? ছবি- সংগৃহীত

পরিবেশজনিত দূষণ, শারীরিক নানা অসুখবিসুখের ফলে ত্বকে তারুণ্যের অভাব দেখা দেয় কম বয়সেই। ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেও অনেক সময় বলিরেখার মতো সমস্যা দূর করা যায় না। ইদানীং তাই কৃত্রিম ভাবে মুখের বলিরেখা দূর করার জন্য অনেকেই ‘বোটক্স’ চিকিৎসা করিয়ে থাকেন।

Advertisement

মুখের অবাঞ্ছিত দাগ, বলিরেখা দূর করতে ব্যবহার করা হয় এই বোটক্স। এ ছাড়াও কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পেতেও অনেকেই এই চিকিৎসার উপর ভরসা করেন। মূলত হলিউড-বলিউডের তারকাদের মধ্যে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হওয়ার পরই সাধারণ মানুষও ধীরে ধীরে বোটক্সের দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু এখনও অনেকের মধ্যেই এই পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। তাই কেউ যদি বোটক্স করাতে চান, তার আগে কিছু জিনিস ঝালিয়ে নেওয়া ভাল।

ধারণা: এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক।

সত্যি: না, এটি ত্বকের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। বিশ্বের নানা জায়গায়, বিগত ২০ বছর ধরেই এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে।

ধারণা: এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে ত্বকের স্বাভাবিক গড়ন বদলে যায়। দেখে মনে হয় কৃত্রিম কোনও কিছু মুখের উপরিভাগে দেওয়া রয়েছে।

সত্যি: এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তবে, চিকিৎসার পর ত্বক কেমন দেখাবে, তা চিকিৎসা পদ্ধতির উপরেও নির্ভর করে।

ধারণা: প্রথম বার বোটক্স করার পর নিয়মিত এই চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে না থাকলে ত্বক আবার আগের চেহারায় ফিরে আসে।

সত্যি: এ কথা সত্যি যে এই চিকিৎসার ফল সাময়িক। অন্তত পক্ষে ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত এই চিকিৎসার ফল মেলে। তবে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী যে কটি ‘সিটিং’ প্রয়োজন, দেরি না করে সেগুলি করে নেওয়াই শ্রেয়।

‘বোটক্স’ করাবেন কেন?

বোটক্স একটি সম্পূর্ণ রাসায়নিক নির্ভর চিকিৎসা। যাঁদের ত্বকে সবেমাত্র বলিরেখা পড়তে শুরু করেছে, তাঁদের জন্য এই চিকিৎসা যথেষ্ট লাভদায়ক। এই চিকিৎসা একেবারেই নিরাপদ। তবে, কেউ যদি মনে করেন এক বার এই পদ্ধতি অবলম্বন করার পর নিয়মিত আর এই চিকিৎসা করাবেন না, সে ক্ষেত্রে তা পুনরায় আগের জায়গায় ফিরে আসবে।

‘বোটক্স’ করাবেন না কারা?

১। যাঁদের ত্বক অ্যালার্জিপ্রবণ, তাঁরা এই চিকিৎসা করার আগে সব দিক যাচাই করে নিন।

২। যাঁদের বিপাকহার বেশি, তাঁদের জন্য এই চিকিৎসা খুব একটা ফল দেবে না।

৩। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই চিকিৎসা করানো একেবারেই অনুচিত।

পেশাদার চিকিৎসক ছা়ড়া অন্য কারও কাছে এই চিকিৎসা না করানোই ভাল। সে ক্ষেত্রে মুখের গড়ন বদলে যেতেই পারে। দেখতেও কৃত্রিম লাগে।

আরও পড়ুন
Advertisement