ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের ভরপুর এই ফল শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।
খিদে পেলেই বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, কম ঘুমোনো, মানসিক চাপ, এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার মতো নানা কারণে শরীরে বাসা বাঁধে মেদ। আর স্থূলতা থেকেই ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখ, হাড়ের সমস্যার মতো অসুখ জাঁকিয়ে বসছে। সুস্থ থাকতে তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে জোর দিতে বলেন চিকিৎসকরা।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা তো আছেই, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখতে হবে রোজের পাতেও। পুষ্টিবিদের মতে, ডায়েট করলেই হবে না, প্রয়োজনে বুদ্ধি করে এমন কিছু খাবার পাতে রাখতে হবে, যা ওজন কমাতে খুব কাজে আসে।
তেমনই একটি ফল হল শসা। ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের ভরপুর এই ফল শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এতে ক্যালোরির পরিমাণ যেমন কম, তেমনই এতে জলের পরিমাণ বেশি। পরিমাণে কম হলেও ফাইবার আছে শসায়।
পুষ্টিবিদরা বলেন, শরীর সচল রাখতে সিদ্ধহস্ত শসা। রোজের পাতে শসা থাকলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে, ছোট-বড় কোনও রোগই ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। এটা এমন একটা ফল, যা ডায়াবেটিকরাও অনায়াসে রাখতে পারেন তাঁদের ডায়েটে।
অনেকেই দ্রুত রোগা হতে ভরসা রাখেন শসার উপর। তবে রোগা হওয়ার পর্বে ইচ্ছেমতো শসা খেলেই হল না। শসা খেতে হবে নিয়ম মেনে। খালি পেটে নয়, ভারী খাবার খাওয়ার পরেই শসা খান। সকাল বা বিকেলের টিফিনে শসার রায়তা, দই-শসা রাখতে পারেন। শসা দিয়ে বানানো স্মুদিও খাওয়া যেতে পারে। তবে অনেকের ধারণা রয়েছে, তেল-মশলার খাবার বা ভাজাভুজির সঙ্গে শসা খেলে তেল-মশলার ক্ষতিটা শরীরে লাগে না।
এমনটা একেবারে ঠিক ধারণা নয়। এ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদদের ধারণা, শসা তেল-মশলাদার খাবারের সঙ্গে খেলে হজম করতে সাহায্য করতে পারে মাত্র। তার চেয়ে বেশি কোনও উপকার করে না।
চটজলদি রোগা হতে চাইলে শসা আর ধনেপাতার স্মুদি খুব উপকারী। অনেকেই এই পানীয়টি বানানোর পদ্ধতি জানেন না। সহজে মেদ ঝরাতে কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়?
একটি শসা টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। সঙ্গে কুচিয়ে নিন অল্প কিছুটা ধনেপাতা। এ বার এই শসা ও ধনেপাতা একসঙ্গে মিশিয়ে ঘুরিয়ে নিন মিক্সিতে। তবে মিক্সিতে দেওয়ার সময়ে পরিমাণ মতো জল দিতে ভুলবেন না। তৈরি হয়ে এলে তরলটি একটি গ্লাসে নিয়ে তাতে অল্প বিটনুন ছড়িয়ে খেতে পারেন। নিয়ম করে খেলে উপকার পাবেন।