Debina Bonnerjee’s Postpartum Journey

দুই সন্তান সামলে কী ভাবে চুলের যত্ন নেন দেবিনা? জানালেন তাঁর কেশচর্চার কাহিনি

দুই সন্তানকে সামলে কী ভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে সেই অভিজ্ঞতা নিজের চ্যানেলে পোস্ট করেছেন দেবিনা। নতুন মায়েরাও একই ভাবে চুলের যত্ন নিতে পারেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৪
Actor Debina Bonnerjee

দুই কন্যার সঙ্গে অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যেমন হরমোনের হেরফের হয়, সন্তানপ্রসবের পর এবং পরবর্তী সময়েও একই রকম ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় নতুন মায়েদের। যার প্রভাব পড়ে চুলে। চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ দ্বিগুণ গতিতে বেড়ে যায়। সন্তানের দেখাশোনা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ও হয় না। মুম্বইয়ের ছোট পর্দার অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই রকম সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। দুই সন্তানকে সামলে কী ভাবে তিনি চুলের যত্ন নেন, সেই ভিডিয়ো সম্প্রতি নিজের চ্যানেলে পোস্ট করেছেন। দেবিনার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন মায়েরা সেই ভাবে চুলের যত্ন নিতে পারেন। দেখে নিন, তার জন্য কী কী করতে হবে।

Advertisement

চুলের যত্ন শুরু হয় আঁচড়ানো দিয়ে। দেবিনা চুল আঁচড়ানোর জন্য কাঠের চিরুনি ব্যবহার করেন। তাঁর মতে, চুলের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ভাল রাখতে হলে তেল বা সিরাম মাখার আগে অবশ্যই চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। প্লাস্টিক বা ধাতব চিরুনিও ব্যবহার করেন অনেকে। চুলের সঙ্গে এই ধরনের চিরুনির ঘর্ষণে স্থির তড়িৎ উৎপন্ন হয়। এর ফলে চুল ছিঁড়ে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তুলনায় কাঠের চিরুনি অনেকটাই নিরাপদ।

এ বার আসা যাক তেল মাখার বিষয়ে। মাথার ত্বকে সাধারণত আঙুলের ডগা দিয়ে তেল মাখতে বলা হয়। কিন্তু অসাবধানে চুলের গোড়ায় নখের আঘাত লাগলে চুলের ক্ষতি হয়। তাই দেবিনা হাত দিয়ে তেল মাখার চাইতে ‘অয়েল অ্যাপ্লিকেটর’ ব্যবহার করতেই পছন্দ করেন। কারণ, এই যন্ত্রটির সাহায্যে তেল মাখলে চুলের গোড়ায় গোড়ায় তেল পৌঁছয়। যেখানে আঙুল পৌঁছতে পারে না, সেখানে এই অ্যাপ্লিকেটর সহজেই পৌঁছে যায়। তা ছাড়া অ্যাপ্লিকেটর দিয়ে তেল মাখলে তেলও কম লাগে।

তেল মাখার পর দেবিনা ‘এলইডি’ চিরুনি দিয়ে আরও এক বার চুল আঁচড়ে নেন। ‘এলইডি’ চিরুনি কিন্তু সাধারণ চিরুনির মতো নয়। মাথার ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ বা প্রদাহ নিরাময় করতে এই চিরুনিটি দারুণ কাজ করে। ফলিকলগুলি স্টিমুলেট করতেও সাহায্য করে। যে কারণে নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।

তেল মাখার পর অনেকেই মাথায় গরম জলে ভেজানো তোয়ালে ভাল করে নিঙড়ে নিয়ে জড়িয়ে রাখেন। আবার, মুখে স্টিম নেওয়ার যন্ত্রের মতো মাথায় জড়ানোর জন্য বিশেষ ধরনের ‘ক্যাপ’ পাওয়া যায়। তার সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকে। মাথায় ওই ক্যাপটি পরে সুইচ দিলেই তা থেকে গরম ভাপ বেরোতে শুরু করে। ফলে চুলের গোড়ায় তেল ভাল ভাবে প্রবেশ করতে পারে।

একেবারে শেষ ধাপ অর্থাৎ শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার। এ ক্ষেত্রে চুল এবং মাথার ত্বকের ধরন বুঝে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে। মাথার ত্বকে জমে থাকা তেল, মরা কোষ তোলার জন্য রবারের স্ক্রাবার ব্যবহার করেন দেবিনা। তাতে চুল ছিঁড়ে পড়ার ভয়ও থাকে না। যেখানে আঙুল পৌঁছয় না, সেখানে শ্যাম্পু দেওয়া স্ক্রাবার সহজেই পৌঁছে যেতে পারে। শ্যাম্পু করার শেষে কন্ডিশনার মেখে নিলেই কাজ শেষ।

আরও পড়ুন
Advertisement