ডিম্বাণু থাক হিমঘরে! ছবি- সংগৃহীত
চিনের জন্মহার নিয়ে চিন্তায় দেশের সরকার থেকে রাজনৈতিক পরামর্শদাতারা। একের পর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে এক রকম বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এ বার অবিবাহিত মেয়েরা যাতে, তাঁদের ডিম্বাণু হিমায়িত করে রাখার অনুমতি পান, সেই প্রসঙ্গে সওয়াল করলেন দেশের তাবড় রাজনৈতিক পরামর্শদাতাদের এক সদস্য লু উয়েইয়িং।
নানা কারণে অনেক মহিলাই বিয়ের পর সন্তানধারণ করতে চান না। বেশি বয়স পর্যন্ত পুরুষরা প্রজননে সক্ষম হলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। তাই চিনে বিবাহিত মহিলাদের ‘আইভিএফ’ চিকিৎসা এবং ডিম্বাণু হিমায়িত করে রাখার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অবিবাহিত মেয়েদের জন্য তা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। পেশায় চিকিৎসক লু বলেন, “প্রজননক্ষম সময় পেরিয়ে যাওয়ার আগেই যদি অবিবাহিত মেয়েরা ডিম্বাণু হিমায়িত করে রাখতে পারেন, সে ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে করলেও পরবর্তী সময়ে সন্তানধারণে কোনও সমস্যা হবে না।”
কিছু দিন আগেই চিনের দু’টি প্রদেশ বিয়ের জন্য নির্ধারিত ছুটির দিন ৩ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য দিকে, তরুণদের শুক্রাণু দান করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার তরফে।
বিগত ৬০ বছরে এই প্রথম বার চিনে জনসংখ্যার হার কমেছে দুর্দমনীয় গতিতে। ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চিন এক সন্তান নীতির পক্ষেই জোর দিত। কিন্তু ২০২২ সালে জন্মহার নেমে এসেছে ৬.৭৭ শতাংশে। যা দেশে আর্থিক পরিকাঠামোর উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।