প্রকাশ্যে অনন্ত-রাধিকার বিয়ের কার্ড। ছবি: সংগৃহীত।
নেটমাধ্যম হোক কিংবা বিটাউন, সর্বত্রই এখন একটাই চর্চা! অম্বানীর বাড়ির বিয়ে। তা নিয়ে হইচই তুঙ্গে। মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী বিয়ে করতে চলেছেন রাধিকা মার্চেন্টকে। ১২ জুলাই থেকে শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান।
এর মধ্যেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে গিয়ে বিয়ের প্রথম নিমন্ত্রণপত্রটি মহাদেবকে উৎসর্গ করেছেন মুকেশ-পত্নী নীতা অম্বানী। তার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র বিলির পালা।
সমাজমাধ্যমে অনন্ত-রাধিকার বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রটি ভাইরাল হয়েছে। এটি বিয়ের কার্ড না কি অন্য কিছু— নিমন্ত্রণপত্রটি দেখে ধন্দে অনেকে। চোখ কপালে উঠেছে নেটাগরিকদের। এটি তৈরি হয়েছে রুপো দিয়ে।
ভাইরাল ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে লাল রঙের একটি ছোট আলমারির মধ্যে রুপোর মন্দির। আলমারি খুললেই জ্বলছে এলইডি লাইট। লাইটের আলোয় রুপোর মন্দিরের চমক যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে। মন্দিরের এক একটি কক্ষে রয়েছে বিষ্ণু, রাধাকৃষ্ণ, দূর্গা ও গণেশের মূর্তি। মন্দিরের ছাদে সাজানো রয়েছে ছোট ছোট রুপোর ঘণ্টা। মন্দিরের সঙ্গে রুপোর বাক্সে ভরা রয়েছে বিয়ের কার্ড। সঙ্গে রয়েছে আর একটি রুপোর বাক্স। বাক্সের ভিতর রয়েছে একটি শাল, বিভিন্ন দেবতার সোনার মূর্তি, অনন্ত-রাধিকার নাম আঁকা একটি মসলিনের কাপড়। রইল অনন্ত-রাধিকার বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রের ঝলক।
ছোট থেকেই পরস্পরকে চিনতেন রাধিকা এবং অনন্ত। ভাল বন্ধু রাধিকার সঙ্গে অনন্তকে প্রায়ই নানা অনুষ্ঠানে দেখা যেত। তবে অনন্তের সঙ্গে রাধিকার বিয়ের জল্পনা জোরালো হয়েছে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং নিক জোনাসের বিয়েতে। জোধপুরে প্রিয়ঙ্কা নিকের বিয়েতে অম্বানী পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাধিকাও। মুম্বইয়ে দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিংহের রিসেশপনেও রাধিকা গিয়েছিলেন অম্বানী পরিবারের সঙ্গেই।
নিউ ইয়র্ক থেকে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন রাধিকা। এ ছাড়াও ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী তিনি। রাধিকাকে বরাবর আগলে আগলেই রেখেছেন অনন্তের মা নীতা। বিভিন্ন সময় পৌঁছে গিয়েছেন রাধিকা নৃত্য পরিবেশন করবেন, এমন অনুষ্ঠানেও। প্রথম থেকে রাধিকাকে পছন্দ অম্বানীদের। তবে সেটিই এই বিয়ের একমাত্র কারণ, তেমনটা নয়। রাধিকা ও অনন্ত দু’জনেই পশুপ্রেমী। এই প্রীতি তাঁদের প্রেমের গাঢ়ত্বকে আরও ঘন করেছে বলে অনুমান করছেন অনেকে।