AIIMS

মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাক ২ বছরের শিশুর, এমসের ৫ চিকিৎসকের তৎপরতায় নবজীবন পেল খুদে

বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী বিমানে হঠাৎই শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় ২ বছরের শিশুর। সেই বিমানেই ছিলেন এমসের পাঁচ চিকিৎসক। তাঁদের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল শিশু।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ১৩:৫৩
মাঝ আকাশেই চলল শিশুর চিকিৎসা।

মাঝ আকাশেই চলল শিশুর চিকিৎসা। ছবি: সংগৃহীত।

মাঝ আকাশে ২ বছরের শিশুর প্রাণ বাঁচালেন নয়া দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ (এমস)-এর পাঁচ চিকিৎসক। বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী বিমানে করে যাওয়ার সময়ে হঠাৎই শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় ২ বছরের শিশুটির। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়ে শিশুর প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

বিমানে কর্মীরা হঠাৎই শিশুর সঙ্কটকালীন পরিস্থিতির কথা ঘোষণা করেন। সেই বিমানেই যাত্রা করছিলেন এমসের পাঁচ চিকিৎসক। তাঁরা ‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ভাস্কুলার অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজি’ থেকে ফিরছিলেন। এমস, নয়াদিল্লি শিশু ও চিকিৎসকদের ছবি-সহ এই ঘটনার বিবরণ সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে (টুইটারে) ভাগ করে নিয়েছেন।

২ বছরের সেই শিশুকন্যার হৃদ‌্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তার আগেই একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। মাঝ আকাশে সে অচেতন হয়ে পড়ে, তার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়, নিঃশ্বাসও বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করার সময়ে দেখেন, তার নাড়ির স্পন্দনও পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝ আকাশেই চিকিৎসকদের তৎপরতায় শিশুর শরীরে আইভি ক্যানুলা সফল ভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। জ্ঞান ফেরে শিশুটির, রক্ত চলাচলও স্বাভাবিক হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। মাঝ আকাশেই চিকিৎসা শুরু হয় শিশুর। পরিস্থিতি দেখে নাগপুরে বিমানটির জরুরি অবতরণ করানো হয়। শেষে নাগপুরের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে।

আরও পড়ুন
Advertisement