E-books vs Printed books

কাগুজে বইয়ের ভার, না কি তুলনায় হালকা পকেটসই ‘ই-বুক’, কোনটির গ্রহণযোগ্যতা বেশি?

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারা ক্ষণ ছুটতে হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের হাতে এত সময় নেই। বই পড়ার শখ পূরণ করতে গিয়ে বেশি ঝক্কি পোহাতে চান না কেউই। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই কাগজে ছাপা বইয়ের ভার ‘স্মার্টলি’ ই-বুক-এর কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৬

ছবি: সংগৃহীত।

দেওয়াল আলমারি জুড়ে সাজানো বই। তার মধ্যে বেশ কিছু বংশ পরম্পরায় পাওয়া। সময়ের অভাবে সে সব বই নিয়ম করে পড়াও হয় না। আবার, বই রাখলেই তো হল না! তাদের যত্নআত্তিরও প্রয়োজন রয়েছে। নিজে না পারলে পেশাদার লোক ডেকে নিয়ম করে বাড়িতে ‘পেস্ট কন্ট্রোল’ করাতে হয়। বই রাখার সমস্যা তো রয়েছেই। দু’কামরার ছোট ফ্ল্যাটে নিজেদেরই পা রাখার জায়গা হয় না। তা হলে বই ধরবে কোথায়? এত ঝক্কি পোহাতে চান না অনেকেই। তাঁদের কাছে কাগজে ছাপা বইয়ের ‘স্মার্ট’ বিকল্প হল ‘ই-বুক’। ই-বুক বা অনলাইনে বই পড়ার কী কী সুবিধা রয়েছে?

Advertisement

১) যেখানে খুশি, যখন খুশি অনলাইনে ই-বুক পড়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। আবার ডিভাইসে ডাউনলোড করে রাখলে সেটির প্রয়োজন পড়ে না।

২) নিজের সঙ্গে করে লাইব্রেরি নিয়ে ঘোরা কি সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। যদি ই-বুক পড়ার অভ্যাস থাকে। একটি ডিভাইসে কয়েক হাজার ই-বুকের স্থান সঙ্কুলান হয়। যা প্রায় একটি লাইব্রেরির সমান।

৩) কাগুজে বই কেনার চেয়ে ই-বুকের খরচ অনেক কম। বিনা পয়সাতেও অনেক ই-বুক মেলে। শুধু বই কিনলেই তো হল না। সঙ্গে রাখার জায়গা কিংবা দেখাশোনা করারও প্রয়োজন পড়ে। শ্রম, সময় এবং খরচ বাঁচানোর একটি পন্থা হতে পারে ই-বুক।

৪) দীর্ঘ দিন থাকতে থাকতে বইয়ের বাঁধন নষ্ট হতে পারে। পাতাও লালচে হয়ে যেতে পারে। যা ই-বুকের ক্ষেত্রে হওয়া সম্ভব নয়।

৫) ই-বুকে পেজমার্কিংয়ের সুবিধা থাকে। চাইলে অভিধানের সাহায্য নেওয়া যায়। কোনও বিষয়ে ইতিহাস জানতে হলে সরাসরি চলে যাওয়া যায় ‘উইকি’-র ভান্ডারে।

পাতার নম্বর মনে রাখার চিন্তা নেই। শুয়ে শুয়ে বই পড়তে গিয়ে আসাবধানে পাতা ছিঁড়ে যাওয়া কিংবা বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে রাখা গোপন চিঠি কারও হাতে পড়ে যাওয়ার ভয় নেই। দামি বই কিনতে না পারার দুঃখ নেই। সবচেয়ে বড় কথা, ঘাড়ে করে বই বয়ে বেড়ানোর ঝক্কিও নেই। তা সত্ত্বেও ই-বুক পড়ার কিছু অসুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হাতে বই নিয়ে পড়লে তা দীর্ঘ দিন স্মৃতিতে থেকে যায়। বইয়ে লেখা শব্দগুলি মনের গভীরে গেঁথে থাকে অনেক দিন। এ ছাড়া আর কী কী সমস্যা হতে পারে?

১) অনেকেই মনে করেন, হাতে বই নিয়ে পড়ার অনুভূতি ই-বুকে পাওয়া সম্ভব নয়। নতুন বই কেনার আবেগ, উপহার দেওয়ার আনন্দ, বইয়ের পাতার গন্ধ— এ সমস্ত অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়।

২) কাগজে ছাপা বই পড়লে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে না। দীর্ঘ ক্ষণ বই পড়লেও আলাদা করে চোখের ক্ষতি হয় না। কিন্তু ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করলে চোখের সমস্যা হতে পারে। অবশ্য কিন্ডল বা কোবো-র মতো ডিভাইসে সেই সমস্যা হয় না।

৩) নিজে থেকে বিরতি না নিলে বই পড়ার মাঝে মনঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট বা কিন্ডলের মতো ডিজিটাল ডিভাইসের চার্জ শেষ হয়ে গেলে বই পড়াও মাথায় উঠতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement