ছবি : সংগৃহীত।
রান্নাঘরে যাঁরা নতুন প্রবেশ করছেন, তাঁরা তো বটেই। যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁরাও অনেক সময় না জেনে বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার কিছু ভুল করে ফেলেন। টের পান ভুলের মাসুল গোনার পরে। মাইক্রোওয়েভ অভেন ব্যবহারের ক্ষেত্রে হওয়া তেমনই কিছু ভুল ধরিয়ে দিলেন এক যাপন প্রশিক্ষক।
সমাজমাধ্যমে নিয়মিত যাপন সংক্রান্ত নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন যাপন প্রশিক্ষক শশাঙ্ক আলসি। যদিও নিজের পরিচয়ে তিনি লেখেন, ‘জীবন সহজ করার টোটকার দোকান’। শশাঙ্ক জানাচ্ছেন, মাইক্রোওয়েভ অভেন, খাবার এবং আপনার জীবন সুরক্ষিত রাখতে হলে তিনটি জিনিস অভেনে না ঢোকানোই মঙ্গল।
১। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল = আগুনের ঝুঁকি
মাইক্রোওয়েভ শক্তি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে প্রতিফলিত হয়ে আগুনের ফুলকি তৈরি করতে পারে, যা থেকে আগুনও লাগতে পারে মাইক্রোওয়েভ অভেনে।
২। ধাতব যেকোনও পাত্র = বিদ্যুৎসঞ্চালন
ইস্পাত, তামা বা পিতলের পাত্র, কাস্ট আয়রনের তাওয়া বা বাসন-সহ যেকোনও ধাতব পাত্র মাইক্রোওয়েভ অভনে না দেওয়াই ভাল। কারণ মাইক্রোওয়েভে থাকা ধাতুতে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়ে তা মাইক্রোওয়েভ অভেনের ক্ষতি করতে পারে। অভেনে আগুনও লাগতে পারে।
৩। মাইক্রোওয়েভ সেফ নয়, এমন প্লাস্টিক
প্লাস্টিকের পাত্র মানেই তা মাইক্রোওয়েভ সেফ— তা কিন্তু নয়। এমন বহু প্লাস্টিকের পাত্র রয়েছে, যা মাইক্রোওয়েভে দিলে তা থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক নিঃসৃত হয়। তাই মাইক্রোওয়েভে সেই প্লাস্টিকই ব্যবহার করুন যা ‘মাইক্রোওয়েভ সেফ’ বলে লেখা রয়েছে।
৪। খোলায় থাকা ডিম = বিস্ফোরণ!
ডিমের খোলা না ছাড়িয়ে তা মাইক্রোওয়েভ অভেনে দিলে তা ফাটবেই। তার কারণ খোলার ভিতরে জমতে থাকা বাষ্প বাইরে বেরোতে না পেরে ভিতরে চাপ তৈরি করে এবং ফেটে যায়। সেদ্ধ ডিমও মাইক্রোওয়েভ অভেনে গরম করতে দিলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের বেশি রাখলে তা-ও ফেটে যেতে পারে। তাই সেদ্ধ ডিম অভেনে গরম করতে দিলে তা ছুরি দিয়ে চিরে দিন।
৫। স্টাইরোফোমের পাত্র বা কাগজের ব্যাগ
অনেকসময়েই দোকানে খাবার দেওয়া হয় স্টাইরোফোমের একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার পাত্রে। আবার কোথাও কোথাও পপকর্নের মতো খাবার কাগজের খাম বা পাত্রেও পরিবেশন করা হয়। ওই স্টাইরো ফোমের পাত্র অভেনের তাপে গলে যেতে পারে। ক্ষতি করতে পারে খাবারের। কাগজের ব্যাগ বা খাম মাইক্রোওয়েভ অভেনে দিলে তাতে আগুন ধরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে।