Viral News

সাঁতার কাটতে গিয়ে বিপত্তি, ঘিলুখেকো অ্যামিবার আক্রমণে মৃত্যু শিশুর, কী ভাবে ছড়াল সংক্রমণ?

সাঁতার কাটতে গিয়ে প্রাণ গেল ১০ বছরের শিশুর। জলে ডুবে নয়, ঘিলুখেকো অ্যামিবার সংক্রমণেই হল মৃত্যু। শিশুর বাড়ি আমেরিকার টেক্সাসে। সুইমিং পুল থেকে মাথায় সংক্রমণ হয় খুদের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৮
10-year-old Texas girl dies after contracting brain-eating amoeba.

প্রাণঘাতী অ্যামিবার আক্রমণে প্রাণ হারাল শিশু। ছবি: সংগৃহীত।

এমনই প্রাণী যে, চিবিয়ে খেতে পারে মানুষের মাথা! আসল নাম ‘নিগ্লেরিয়া ফাউলেরি’। তবে চিকিৎসক মহল একে চেনে ‘ঘিলুখেকো অ্যামিবা’ বলে। সম্পতি এই অ্যামিবার সংক্রমণে মৃত্যু হল খুদের। রোগীর বয়স মাত্র ১০ বছর। তাঁর বাড়ি আমেরিকার টেক্সাসে। সুইমিং পুল থেকে মাথায় সংক্রমণ হয় খুদের।

Advertisement

পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে কানে ব্যথা, জ্বর ও বমি শুরু হয় স্টেফেনিয়া ভিলামিজ়ার গনজ়ালেজ়ের। প্রথম দিকে কানের সংক্রমণ ভেবেছিলেন চিকিৎসকেরা। সেই মতো চিকিৎসাও শুরু হয়। খানিকটা স্বস্তি মেলে তাঁর। তবে দিন পনেরো পর ছুটি থেকে ফিরে বিছনা থেকে উঠে দাঁড়াতে পারছিল না সে। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলে চিকিৎসা। খুদের মৃত্যু পর বেশ কিছু পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানতে পারেন অ্যাময়বিক এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে স্টেফেনিয়ার।

জলে এই প্রকার অ্যামিবা থাকলে সেই সময়েই জলবাহিত হয়ে নাক দিয়ে প্রবেশ করতে পারে শরীরের ভিতরে। সাধারণত নদী, পুকুর বা হ্রদে সাঁতার কাটতে গিয়েই এ ধরনের সংক্রমণ হয়। এই ধরনের সংক্রমণের প্রথম উপসর্গ সাধারণত দেখা যায় সংক্রমণ ছড়ানোর ৫ দিন পরে। তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। সংক্রমণ ছড়ানোর ১ থেকে ১২ দিনের মধ্যে যে কোনও সময়েই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই রোগের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। এক বার এই প্রাণী শরীরে প্রবেশ করলে মৃত্যু অবধারিত। এই রোগ বিরল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সাল থেকে আমেরিকা, তাইল্যান্ড ও ভারতে প্রায় ৩৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সংক্রমণের কারণে।

আরও পড়ুন
Advertisement