গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের আগেই তেলুগু রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের আঁচ মিলল। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি এসে সনিয়া গান্ধী এবং রাহুলের সঙ্গে বৈঠক করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান জগন্মোহন রেড্ডির বোন ওয়াইএস শর্মিলা। সূত্রের খবর, শর্মিলা তাঁর দল ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টিকে মিশিয়ে দিতে চলেছেন কংগ্রেসে। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে শর্মিলা বলেন, ‘‘এ বার তেলঙ্গানার ভোটে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভরাডুবি হবে।’’
গত ১১ অগস্ট দিল্লি গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ দলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছিলেন শর্মিলা। হায়দরাবাদ ফিরে অন্ধ্রের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির কন্যা বলেছিলেন, ‘‘শীঘ্রই আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি।’’ জগনের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে শর্মিলা বছর দু’য়েক আগে তেলঙ্গানার ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছেড়ে প্রয়াত বাবার নামে নতুন দল গড়েছিলেন। জগন-শর্মিলার মা বিজয়াম্মাও পরে সেই দলে শামিল হন।
ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টির নেতাদের দাবি, হায়দরাবাদ নিবাসী শর্মিলা অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তেলঙ্গানার স্বার্থরক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান। তাই নতুন দল গড়েছিলেন তিনি। তবে শর্মিলাকে নিয়ে তেলঙ্গানা কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের আপত্তি রয়েছে বলে দলের একটি অংশ জানাচ্ছে।
চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মিজোরামের সঙ্গেই তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর বিআরএস, বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে গত দু’মাসে বিআরএস এবং বিজেপি ছেড়ে বেশ কিছু নেতা কংগ্রেসে শামিল হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শর্মিলা যোগ দিলে কংগ্রেস কিছুটা সুবিধা পেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন অখণ্ড অন্ধ্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা রাজশেখর রেড্ডি। তাঁর মৃত্যুতে খালি হওয়া কাড়াপা জেলার পুলিভেন্ডুলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জেতেন বিজয়াম্মা। কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ২০১১ সালে নয়া দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস গড়েন রাজশেখর-পুত্র জগন। সে সময় পাশে পেয়েছিলেন মা বিজয়াম্মা এবং বোন শর্মিলাকে।