রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র হাতে সন্তোষী দুর্গা। ছবি: এক্স।
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধন। দেশ-বিদেশ থেকে অযোধ্যায় আসবেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। তেমনই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষকে। সেই আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন ‘অখ্যাত’ সন্তোষী দুর্গাও। ৩৫ বছর বয়সি ওই মর্গের কর্মী রামমন্দির উদ্বোধনে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে কেঁদেই ফেললেন। আপ্লুত ওই মহিলার কথায়, ‘‘কোনও দিন কল্পনা করতে পারিনি যে, আমাকে এমন কোনও বড় অনুষ্ঠানে কেউ আমন্ত্রণ করবেন। অযোধ্যা যাওয়া তো আমার কল্পনাতেই ছিল না। কিন্তু শ্রীরাম আমায় আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন।’’
১৮ বছর ধরে ছত্তীসগঢ়ের নরহরপুরের সন্তোষী সাফাইকর্মীর কাজ করেছেন। এখন একটি হাসপাতালে কর্মরত। ৭০০-র বেশি ময়নাতদন্ত করেছেন তিনি। এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা তাঁর সময় কাটে মর্গে। ওই কাজে ঢোকার গল্পটাও অন্য রকম।
সন্তোষীর বাবা মর্গের কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। মৃতের ময়নাতদন্তের আগে বাবা মদ্যপান করতেন। যেমনটা এই কাজে কর্মরত অনেকের অভ্যাস। কিন্তু মদ না ছুঁয়েও যে সেই কাজ করা যায়, বাবাকে সেটাই শেখাতে তাঁকে ময়নাতদন্তের কাজে সাহায্য করা শুরু করেন। সেই সন্তোষী যে এমন একটা বড় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাবেন, সেটা আশাই করেননি। ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় তাঁকে যেতে বলা হয়েছে। সেই চিঠি পেয়ে আবেগবিহ্বল। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সন্তোষী জানান, চিঠি পেয়ে তিনি যতটাই খুশি এবং আনন্দিত, তার চেয়েও বেশি বিস্মিত। রামমন্দিরের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই কর্মী। তিনি জানান, অযোধ্যায় রামমন্দিরে গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য প্রার্থনা করবেন তিনি। সবাই যাতে সুখে এবং শান্তিতে থাকতে পারেন সেই কামনা করবেন।
নরহরপুরের বিএমও প্রশান্তকুমার সিংহ সন্তোষীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের পুরো এলাকার জন্য ভীষণ গর্বের। আমার চেনাজানার মধ্যে সন্তোষী একমাত্র, যিনি এই আমন্ত্রণ পেয়েছেন।’’