Maharashtra Accident

পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারান, ৩০০ ফুট গভীর খাদে আছড়ে পড়ে মৃত্যু মহিলার

পুলিশ সূত্রে খবর, অওরঙ্গাবাদ থেকে গাড়ি নিয়ে শুলিভঞ্জন পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন সুরজ সঞ্জু মুলে এবং তাঁর বন্ধু শ্বেতা দীপক সুরওয়াসে। গাড়িটি ছিল সুরজের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৪ ১১:১২
গাড়ি চালাচ্ছিলেন শ্বেতা। খাদে পড়ে যাওয়ার আগের মুহূর্ত।

গাড়ি চালাচ্ছিলেন শ্বেতা। খাদে পড়ে যাওয়ার আগের মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত।

দুই বন্ধু মিলে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন পাহাড়ি এলাকায়। সেখানে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বন্ধুর। গাড়ি চালানো শেখার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। আর গাড়িসমেতই ৩০০ ফুট গভীর খাদে আছড়ে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অওরঙ্গাবাদ থেকে গাড়ি নিয়ে শুলিভঞ্জন পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন সুরজ সঞ্জু মুলে এবং তাঁর বন্ধু শ্বেতা দীপক সুরওয়াসে। গাড়িটি সুরজের। সেখানে পৌঁছে তাঁরা দত্তাত্রেয় মন্দিরে পুজো দেন। বর্ষার মরসুমে এই শুলিভঞ্জন পাহাড়ের দৃশ্য দেখতে প্রচুর পর্যটক হাজির হন। সোমবারেও বেশ ভিড় ছিল। দত্তাত্রেয় মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর গাড়ি চালানোর জন্য চালকের আসনে বসেন শ্বেতা।

বাইরে দাঁড়িয়ে তখন সুরজ। কী ভাবে গাড়ি চালাতে হবে সে কথাই শ্বেতাকে বলছিলেন তিনি। পাহাড়ি রাস্তা, তার উপর নতুন গাড়ি চালানো শিখছিলেন শ্বেতা, তাই তাঁকে বার বার সতর্ক এবং সাবধানি হয়ে চালানোরও পরামর্শ দিচ্ছিলেন সুরজ। শ্বেতার গাড়ি চালানোর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করছিলেন তিনি। শ্বেতা গাড়িটিকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। গাড়ির গতি বেড়ে গিয়েছিল। সুরজ তখন গাড়ির পিছু পিছু ছুটে চিৎকার করছিলেন, ‘ক্লাচ, ক্লাচ, ক্লাচ!’ কিন্তু তত ক্ষণে গাড়ি পিছনের দিকে আরও জোরে গড়াতে শুরু করেছিল। ৫০ মিটার গড়িয়ে যাওয়ার পর ৩০০ ফুট গভীর খাদে আছড়ে পড়ে গাড়িটি। অসহায়ের মতো বন্ধুকে গাড়িসমেত খাদে পড়ে যেতে দেখলেন সুরজ।

এই ঘটনার পরই ওই এলাকায় হুলস্থুল প়ড়ে যায়। পর্যটকেরা এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আসে উদ্ধারকারী দল। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় দলা পাকানো গাড়ির ভিতর থেকে শ্বেতার দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।

আরও পড়ুন
Advertisement