Khejuri

‘দেখা মেলেনি দুর্যোগের সময়’! খেজুরিতে ত্রাণশিবিরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক

ত্রাণশিবিরে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়লেন খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, দুর্যোগের সময় এলাকায় দেখা মেলেনি বিধায়ক বা তাঁর অনুগামীদের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
খেজুরি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৩৩
BJP MLA faced protest in Khejuri

(বাঁ দিকে) বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, তৃণমূল নেতা গৌরিশঙ্কর দাস (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র জেরে গত দু’দিন ধরে একটানা ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বিস্তীর্ণ এলাকা। বহু মানুষের ঠাঁই হয়েছে ত্রাণশিবিরে। সেখানে তাঁদের দেখতে গিয়েই বিড়ম্বনায় পড়লেন খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ত্রাণশিবিরে থাকা গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, দুর্যোগের সময় এলাকায় দেখা মেলেনি বিধায়ক বা তাঁর অনুগামীদের। এখন নিছক প্রচার পেতেই ত্রাণশিবিরে এসেছেন। বিক্ষোভের মুখে পড়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই এলাকা ছাড়েন বিধায়ক। পরে শান্তনু বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে। এখানে জঙ্গলের রাজত্ব চলে। আমরা শীঘ্রই প্রতিবাদ করব।”

Advertisement

ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে জোরালো বৃষ্টির জেরে খেজুরির বারাতলা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ৩৫-৪০টি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকার অন্তত দেড়শো মানুষ আমড়াতলা প্রাইমারি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গৌরীশঙ্কর দাসের নেতৃত্বে এই ত্রাণশিবির চালানো হচ্ছে। তবে সেই সময় এলাকার কোনও বিজেপি নেতা-কর্মীকেই দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি বলেই এলাকাবাসীদের দাবি। শনিবার সন্ধ্যায় ত্রানশিবিরেই গিয়েছিলেন শান্তনু। সেই সময়েই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গৌরীশঙ্করের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকেরাও বিক্ষোভে শামিল হন। সেখানেই গৌরীশঙ্কর প্রশ্ন করেন, দলমত নির্বিশেষে সকলকে যেখানে ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে, সেখানে বিজেপির কোনও নেতা-কর্মীকে আগে কেন দেখা যায়নি? প্রত্যুত্তরে বিধায়ক জানান, তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ কেন আসেননি, তা তাঁর জানা নেই। বিধায়কের এই কথা শুনেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভ চরমে ওঠে। সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনির ঘেরাটোপে কোনও ক্রমে এলাকা ছাড়েন শান্তনু।

পরে গৌরীশঙ্কর বলেন, ‘‘চরম দুর্ভোগের মধ্যে এলাকাবাসীদের উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে আনা হয়েছে। কিন্তু সেই সময় কোনও বিজেপির নেতা-কর্মীদের পাশে পাওয়া যায়নি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই বিধায়ক ছুটে এসেছেন প্রচার পাওয়ার জন্য। এরই প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। উনি নিজেও স্বীকার করেছেন, তাঁর নির্দেশ পেয়েও কেউ এলাকায় আসেননি।” অন্য দিকে বিধায়ক এলাকা ছাড়ার পর বলেন, ‘‘আমার দলের লোকেরাই গ্রামবাসীদের উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে নিয়ে গিয়েছে। এখন তৃণমূল সূযোগ বুঝে আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এলাকাবাসীরাই এদের প্রতিরোধ করবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement